বিখ্যাত লেখক জে কে রাওলিং-এর প্রতি সম্প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা পেদ্রো পাস্কাল। সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের একটি আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন, যেখানে ‘নারী’ এবং ‘লিঙ্গ’-এর সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, স্কটিশ আদালতের এই রায়ে ‘নারী’ এবং ‘লিঙ্গ’-এর সংজ্ঞাকে জৈবিক অর্থে বিবেচনা করা হয়েছে, যা ‘ইক্যুয়ালিটি অ্যাক্ট’-এর আওতায় পড়ে। রাওলিং এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেন এবং এর মাধ্যমে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এর পরেই, অভিনেতা পেদ্রো পাস্কাল, যিনি এলজিবিটিকিউ+ অধিকারের পক্ষে সোচ্চার, রাওলিং-এর প্রতি বিরূপ মন্তব্য করেন। তিনি রাওলিং-কে ‘ঘৃণ্য’ এবং ‘পরাজিত’ হিসেবে অভিহিত করেন।
পাস্কাল তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে মূলত সমর্থন জানিয়েছেন এলজিবিটিকিউ+ কমিউনিটির প্রতি। এর আগেও তিনি বহুবার এই সম্প্রদায়ের অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। তাঁর বোন, যিনি একজন রূপান্তরকামী, প্রায়শই তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
অন্যদিকে জে কে রাওলিং-এর এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে অনেকেই তাঁর কাজের বিরোধিতা করছেন। সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর একটি ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে, যেখানে তাঁকে একটি ইয়টে বসে সিগার খেতে দেখা যায় এবং তিনি ক্যাপশনে লেখেন, “যখন পরিকল্পনা সফল হয়, তখন ভালো লাগে।”
এই ঘটনার পরেই অনেকে তাঁর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এছাড়াও, নতুন ‘হ্যারি পটার’ টিভি সিরিজের কাস্টিং নিয়েও আলোচনা চলছে। যদিও এখনো পর্যন্ত মূল চরিত্রগুলোর অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়নি, তবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এলজিবিটিকিউ+ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
উদাহরণস্বরূপ, জন লিথগো, যিনি আলবাস ডাম্বলডোর চরিত্রে অভিনয় করবেন, ১৯৮২ সালের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকর্ডিং টু গার্প’ ছবিতে একজন রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
পাস্কালের এই মন্তব্যের পরে, অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এই ঘটনার মাধ্যমে সমাজে বিভিন্ন মতাদর্শের প্রতি সহনশীলতা এবং সেলিব্রেটিদের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান