ফ্লিব্যাগ-এর ঘর: দর্শক যেন স্তম্ভিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে!”, 25 বছরে সোহো থিয়েটারের গল্প

শিরোনাম: লন্ডনের মঞ্চে ২৫ বছর: নতুন দিগন্তে সোহো থিয়েটার, যেখানে স্বপ্ন বোনা হয়

লন্ডনের সাংস্কৃতিক জগতে সোহো থিয়েটারের নাম এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। গত ২৫ বছর ধরে, এই থিয়েটার নতুন প্রতিভার উন্মোচন এবং পরীক্ষামূলক নাটকের জন্য পরিচিতি লাভ করেছে।

এবার তারা উত্তর-পূর্ব লন্ডনের ওয়ালথামস্টো-তে তাদের নতুন, বৃহৎ মঞ্চ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই, আসুন, জানা যাক কিভাবে সোহো থিয়েটার শুধু একটি মঞ্চ নয়, বরং শিল্পী এবং দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।

১৯৬০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত, সোহো থিয়েটার নতুন লেখক এবং শিল্পীদের উৎসাহিত করার এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এখানে, ফ্লিবাগ-এর মতো জনপ্রিয় নাটকের জন্ম হয়েছে, যা পরবর্তীতে টিভি সিরিজেও খ্যাতি লাভ করেছে।

ফ্লিবাগ-এর স্রষ্টা, ফোবি ওয়ালার-ব্রিজ, এই থিয়েটারের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, “সোহো থিয়েটার একটি সত্যিকারের পরীক্ষামূলক এবং ঝুঁকি-নেওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন স্থান। এখানে অপরিচিত লেখক এবং শিল্পীদের কাজ নিয়মিতভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের মৌলিক কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়।”

সোহো থিয়েটারের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭০-এর দশকে, যখন এটি ‘সোহো পলি’ নামে পরিচিত ছিল। সেই সময়ে, এটি নতুন নাটক এবং লেখকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।

পরবর্তীতে, ২০০০ সালে ডিন স্ট্রিটে এটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে এবং কমেডি, ক্যাবারে ও পরীক্ষামূলক পরিবেশনার জন্য পরিচিতি লাভ করে।

সোহো থিয়েটারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বিভিন্ন ধরনের শিল্পীদের একত্রিত করে। এখানে, কমেডি থেকে শুরু করে ড্রামা, এমনকি ক্যাবারে পর্যন্ত সব ধরনের পরিবেশনা দেখা যায়।

মার্ক গডফ্রে, এই থিয়েটারের নির্বাহী পরিচালক, বলেন, “আমরা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি। নতুন লেখকদের প্রথম নাটক মঞ্চস্থ করার সুযোগ দিয়েছি, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হয়েছে।”

সোহো থিয়েটার শুধু একটি মঞ্চ নয়, এটি একটি কমিউনিটি। এখানে, শিল্পীরা একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাদের কাজকে উন্নত করে।

নতুন প্রতিভাদের বিকাশে এই থিয়েটার সবসময় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, কমেডিয়ান জ্যাক রুক-এর মতো অনেক শিল্পী এখানে তাদের কর্মজীবন শুরু করেছেন।

ওয়ালথামস্টো-তে নতুন থিয়েটার খোলার মাধ্যমে, সোহো থিয়েটার বৃহত্তর দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নতুন এই পদক্ষেপ তাদের ঐতিহ্যকে ধরে রেখে আরও বেশি মানুষের কাছে শিল্পকলা পৌঁছে দেবে।

সোহো থিয়েটারের এই দীর্ঘ এবং সফল যাত্রা প্রমাণ করে যে, শিল্পের প্রতি ভালোবাসা এবং নতুনত্বের প্রতি আগ্রহ থাকলে, একটি মঞ্চ কিভাবে একটি শহরের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে পারে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *