এভারটনের ‘নতুন প্রেমিকা’: ডেভিড ময়েসের চোখে টিএফজি-র ভবিষ্যৎ!

এভারটন ফুটবল ক্লাবের নতুন মালিকানা লাভের পর ক্লাবটির ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক কোচ ডেভিড ময়েস। তিনি এই পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ক্লাবটির প্রতি “স্নেহপূর্ণ যত্ন” নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।

সম্প্রতি, ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ময়েস এই মন্তব্য করেন।

ডেভিড ময়েস, যিনি একসময় এভারটনের ম্যানেজার ছিলেন, বর্তমানে ক্লাবটির নতুন মালিক, ‘দ্য ফ্রিডকিন গ্রুপ’ (টিএফজি)-কে এভারটনের “নতুন প্রেমিক” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তাঁর মতে, এই মুহূর্তে ক্লাবটির প্রয়োজন বিশেষভাবে দেখাশোনা করা এবং খেলোয়াড় কেনাবেচার বাজারে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া।

তিনি মনে করেন, টিএফজি’র অধীনে আসার পরেও এভারটনকে বেশ কিছু কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে, দলের খেলোয়াড়দের দলবদল এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার নিয়মাবলী (profitability and sustainability rules) ক্লাবটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

ময়েস উল্লেখ করেছেন, এই গ্রীষ্মে অনেক খেলোয়াড় ক্লাব ছাড়তে পারেন, কারণ তাঁদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “কঠিন সময়গুলো সম্ভবত এখনো শেষ হয়নি। আমাদের একজন নতুন প্রেমিক এসেছে, এবং আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা তাকে পছন্দ করি এবং সবকিছু ভালোভাবে চলছে।

অতীতেও এমনটা হয়েছে, কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মনে করি, এই ক্লাবটি অন্য ক্লাবগুলোর থেকে কিছুটা আলাদা।

এখানকার সমর্থকেরা অসাধারণ, তবে এর প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার, যাতে কোনো ভুল না হয়।”

বর্তমানে এভারটনের প্রথম দলের ১৩ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।

ময়েস জানেন, একটি দলবদলের মৌসুমে পুরো দল ঢেলে সাজানো সম্ভব নয়।

তিনি কাদের রাখতে চান, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তবে ক্লাবের আর্থিক সামর্থ্য কতটুকু, সেই হিসাব এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

খেলোয়াড়দের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও তিনি জানান।

ডেভিড ময়েস মনে করেন, খেলোয়াড় কেনাবেচার বাজারে দ্রুত কিছু করা কঠিন।

তিনি বলেন, “আমরা এখনো অপেক্ষা করছি, অনেক কিছুই নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের চুক্তিবদ্ধ করার ওপর।

কিছু খেলোয়াড়কে অবশ্যই রাখা হবে, আবার অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

আমরা এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছি। তবে, একটি দলবদলের মৌসুমে এই পরিবর্তন আনা কঠিন, এমনকি প্রায় অসম্ভব।”

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *