শিরোনাম: ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের সঙ্গে সংঘাত, গ্রেপ্তার বিচারক, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় বিচার বিভাগের সঙ্গে সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। শুক্রবার, উইসকনসিনের মিলওয়াকি কাউন্টি সার্কিট আদালতের বিচারক হান্না ডুগানকে (Hannah Dugan) গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (FBI)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন ব্যক্তিকে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হাত থেকে পালাতে সাহায্য করেছেন।
ইউএস মার্শাল সার্ভিস এর মুখপাত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এফবিআই-এর পরিচালক কাশ প্যাটেল (Kash Patel) এক বিবৃতিতে জানান, বিচারক ডুগান ইচ্ছাকৃতভাবে ফেডারেল এজেন্টদের বিভ্রান্ত করেছেন এবং এডুয়ার্ডো ফ্লোরেস রুইজ নামের এক ‘অবৈধ অভিবাসী’কে পালাতে সহায়তা করেছেন।
পরে অবশ্য ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় অভিবাসন নীতিকে কঠোর করতে এবং অভিবাসন বিষয়ক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিচারকদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। ডেমোক্রেট সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স ডুগানের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘কর্তৃত্ববাদের দিকে দেশকে নিয়ে যাওয়ার’ অভিযোগ করেছেন।
আরেক ডেমোক্রেট সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, সিআইএ’র (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) উপ-পরিচালকের ছেলে মাইকেল আলেকজান্ডার গ্লস ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।
তাঁর পরিবারের প্রকাশিত শোকবার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। নিহত গ্লস-এর বয়স ছিল ২১ বছর।
অন্যদিকে, জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র এবং এক সময়ের কংগ্রেস সদস্য জর্জ সান্তোসকে শুক্রবার সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল।
এছাড়াও, অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি (Pam Bondi) সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য বাইডেন প্রশাসনের সময়ে নেওয়া কিছু পদক্ষেপ বাতিল করেছেন। এর ফলে, তদন্তের স্বার্থে সাংবাদিকদের ফোন রেকর্ড জব্দ করা বা তাঁদের সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের চিফ অফ স্টাফ জো ক্যাসপারও (Joe Kasper) অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করেছেন। ক্যাসপারের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের ভেতরে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা এবং বিভিন্ন বিতর্কিত কাজের অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়াও, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যান্য খবরে জানা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি রুমিসা ওজতুর্ক নামের এক তুফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মুক্তি চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, শ্বেত ভবন ‘নির্যাতনমূলক’ আচরণ করছে।
অন্যদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চীনের অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা মোকাবিলা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
শোনা যাচ্ছে, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর কথা বিবেচনা করছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান