ভ্রমণে যান? সময় ও অর্থ বাঁচাতে অভিজ্ঞদের সেরা কৌশলগুলি জেনে নিন!

ভ্রমণ এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে, বিশেষ করে উন্নত প্রযুক্তির কারণে। টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে হোটেলের রিজার্ভেশন—সবই এখন হাতের মুঠোয়।

কিন্তু ভ্রমণের এই সহজ পথে কিছু কৌশল জানা থাকলে যাত্রা আরও আনন্দদায়ক হতে পারে, যা সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচাবে। সম্প্রতি, বিভিন্ন দেশের ভ্রমণকারীরা তাদের ভ্রমণের কিছু গোপন টিপস শেয়ার করেছেন, যা শুনলে আপনিও উপকৃত হবেন।

বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেকিংয়ের সময় প্রায়ই আমাদের তাড়াহুড়ো করতে হয়। এই সময় নিজের জিনিসপত্র, যেমন—মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, ইত্যাদি, স্ক্যানিং মেশিনের ট্রের বদলে সরাসরি নিজের ব্যাগে রাখলে ভালো।

এতে জিনিসপত্র হারানোর সম্ভাবনা কমে যায় এবং দ্রুত কাজ সেরে নেওয়া যায়। অনেক সময় তাড়াহুড়োয় আমরা মূল্যবান জিনিস ট্রের মধ্যে ফেলে যাই, যা পরে খুঁজে পেতে সমস্যা হয়।

ভ্রমণের আগে একটি জরুরি কাজ হলো—প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের একটি তালিকা তৈরি করা। যেমন—টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সানস্ক্রিন, ইত্যাদি।

এই জিনিসগুলো আলাদা একটি ব্যাগে গুছিয়ে রাখুন। ভ্রমণের সময় এই ব্যাগটি ব্যবহার করুন এবং বাড়ি ফিরে আসার পর এটিকে আবার গুছিয়ে রাখুন। এতে করে ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় জিনিস হাতের কাছে পাওয়া যায়।

দীর্ঘ ফ্লাইটের সময় আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। একটি ছোট ফ্যান সঙ্গে রাখতে পারেন, যা গরম আবহাওয়ায় আরাম দেবে।

এছাড়া, একটি বিচ বল (beach ball) সাথে রাখুন, যা বিমানে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং গন্তব্যে পৌঁছে সমুদ্রের ধারে খেলাধুলার কাজেও লাগবে।

বিদেশ ভ্রমণে গেলে সেখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা রাখাটা খুব জরুরি। গন্তব্যে পৌঁছে বিনামূল্যে হাঁটা ট্যুরে অংশ নিতে পারেন।

এতে শহরের রাস্তাঘাট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এবং ভ্রমণের শুরুতেই শরীরচর্চা হয়ে যায়।

ভ্রমণের সময় সব রিজার্ভেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের একটি অনুলিপি সাথে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। অনলাইনে সব তথ্য হাতের কাছে পাওয়া গেলেও, ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে বা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে এই অনুলিপি কাজে আসে।

তাই, ট্রেনের টিকিট বা হোটেলের ভাউচারের মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রিন্টআউট নিন এবং একটি ছোট মানচিত্রে গন্তব্যের ঠিকানা চিহ্নিত করে নিজের ব্যাগে রাখুন।

অর্থ সাশ্রয়ের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন। এমন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন, যেখানে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয় না।

এতে বিদেশে কেনাকাটা বা টাকা তোলার সময় আপনার খরচ কম হবে।

হোটেল বা অ্যাপার্টমেন্টে থাকার সময় কিছু ছোটখাটো কৌশল কাজে লাগতে পারে। যেমন—ঘরের পর্দা ভালোভাবে বন্ধ করার জন্য ক্লথিং হ্যাঙ্গার ক্লিপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

এছাড়া, ছোট জায়গায় আয়রনিং বোর্ডকে অতিরিক্ত তাক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কম জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়াটা ভ্রমণের জন্য সবসময় ভালো। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বহন করার চেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সাথে নিয়ে ভ্রমণ করলে যাত্রা সহজ হয়।

সবশেষে, হোটেল থেকে চেক আউট করার আগে আপনার মূল্যবান জিনিসপত্র, যেমন—পাসপোর্ট, টাকা-পয়সা, ইত্যাদি—সেফ-এ রেখেছেন কিনা, তা নিশ্চিত করুন।

অনেক সময় তাড়াহুড়োয় আমরা প্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে আসি।

ভ্রমণের এই টিপসগুলো অভিজ্ঞ ভ্রমণকারীদের অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া। এগুলো অনুসরণ করে আপনিও আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ, আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *