শিরোনাম: গ্রিন বে প্যাকার্সের খেলোয়াড় ম্যাথিউ গোল্ডেনের নানীকে বাড়ি কিনে দেওয়ার অঙ্গীকার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার ফুটবল লীগ, এনএফএল-এর (NFL) খেলোয়াড় ম্যাথিউ গোল্ডেন তার সাফল্যের প্রথম পদক্ষেপেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সম্প্রতি গ্রিন বে প্যাকার্সে যোগ দেওয়া এই তরুণ খেলোয়াড় তার সাইনিং বোনাসের অর্থ দিয়ে নানীর জন্য একটি বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গোল্ডেনের এই মানবিক উদ্যোগ এখন ক্রীড়া বিশ্বে আলোচনার বিষয়।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এনএফএল ড্রাফটে গোল্ডেনকে ২৩ নম্বর বাছাই হিসেবে দলে ভেড়ানো হয়। খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তিনি জানান, তার প্রথম এবং প্রধান ইচ্ছা হলো, নানীর জন্য একটি নতুন বাড়ি কেনা। কয়েক বছর আগে গোল্ডেনের পরিবারের বসতবাড়িটি হারাতে হয়, যা তাদের কাছে ছিল অত্যন্ত মূল্যবান। নিজের শৈশব এবং কৈশোরের স্মৃতিবিজড়িত সেই বাড়িটি ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
গোল্ডেন বলেন, “নানী আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আমরা একসঙ্গে অনেক কঠিন সময় পার করেছি। তার সঙ্গে এই মুহূর্তটি উপভোগ করতে পারাটা আমার জন্য অনেক বড় একটা বিষয়।” তিনি আরও জানান, ছোটবেলায় তিনি সবসময় নানীর জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন এবং এখন সেই সুযোগ আসায় তিনি খুবই আনন্দিত। বর্তমানে বাড়িটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত এবং গোল্ডেন সুযোগটি কাজে লাগাতে চান।
গোল্ডেনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে গভীর পারিবারিক বন্ধন এবং শ্রদ্ধাবোধ। তিনি বলেন, “আমি সবসময় নানীকে বলেছিলাম, সুযোগ পেলে আমি তার জন্য এটা করব।” এই ঘটনা প্রমাণ করে, গোল্ডেনের জীবনে পরিবারের গুরুত্ব কতখানি। তিনি শুধু একজন ভালো খেলোয়াড়ই নন, বরং একজন ভালো মানুষও বটে।
খেলার মাঠেও ম্যাথিউ গোল্ডেন তার দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। তার অসাধারণ গতি এবং বল দখলের ক্ষমতা গ্রিন বে প্যাকার্সের কর্মকর্তাদের নজর কেড়েছে। দলের জেনারেল ম্যানেজার ব্রায়ান গুটিকুন্স গোল্ডেনের খেলা সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন এবং তার ফিল্ডে দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন। গুটিকুন্স বলেন, “গোল্ডেন একজন শক্তিশালী খেলোয়াড় এবং দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
ম্যাথিউ গোল্ডেনের এই মানবিক দিক এবং তার খেলার দক্ষতা উভয়ই ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। তার এই উদ্যোগ অন্যদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, যা প্রমাণ করে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি কিভাবে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল