ক্যালিফোর্নিয়ার ভয়াবহ দাবানলের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করা ‘নিঃশব্দ যোদ্ধাদের’ সম্মান জানাতে লস অ্যাঞ্জেলেসে ফিরে এসেছিলেন প্রিন্স হ্যারি।
গত এপ্রিলে বেভারলি হিলসের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এই অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানটি ছিল ‘লিভিং লিজেন্ডস অফ অ্যাভিয়েশন’ অ্যাওয়ার্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি।
অনুষ্ঠানে হ্যারি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা মরগান ফ্রিম্যান এবং জন ট্রাভোল্টা।
এই অনুষ্ঠানে হ্যারি সম্মানিত হন, কারণ তিনি একসময় আফগানিস্তানে অ্যাপাচি হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রিন্স হ্যারি সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে হওয়া ভয়াবহ দাবানলের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “জানুয়ারিতে যখন ৫০ বর্গ মাইলের বেশি এলাকা জুড়ে আগুন লাগে, তখন আমরা সাহসিকতা দেখেছি।
দেখেছি কিভাবে একদল সাহসী নারী-পুরুষ নিজেদের জীবন বাজি রেখে আকাশ থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন।
তারা এমন সব মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন যাদের সঙ্গে তাদের কোনো পরিচয় ছিল না।”
প্রিন্স হ্যারি আরও বলেন, “জীবনে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যা আমাদের মানুষ হিসেবে, আমাদের সাহস, সহানুভূতি এবং একে অপরের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রকাশ করে।
এই অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রথম সারিতে থেকে যারা কাজ করেছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের আমরা সাধারণত ধন্যবাদ জানাতে ভুলে যাই।”
অনুষ্ঠানে হ্যারি বিশেষভাবে সেসব মানুষের কথা উল্লেখ করেন, যারা কোনো স্বীকৃতি বা মনোযোগের প্রত্যাশা করেন না, কিন্তু তাদের কাজ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
তাদের প্রতি সম্মান জানানো উচিত।
এই অনুষ্ঠানের দু’দিন আগে, হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল নিউ ইয়র্ক সিটিতে গিয়েছিলেন।
সেখানে ‘টাইম১০০ সামিট’-এ বক্তৃতা করেন ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মার্কেল।
এরপর তারা একটি বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন, যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতির শিকার শিশুদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
প্রদর্শনীটিতে ছিল ‘লস্ট স্ক্রিন মেমোরিয়াল’, যেখানে শিশুদের ফোনের লক স্ক্রিনের ছবি প্রদর্শন করা হয়।
ছবিগুলো তাদের পরিবারের সদস্যরা শেয়ার করেছিলেন, যা অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
প্রিন্স হ্যারি বলেন, “এই শিশুদের কোনো রোগ ছিল না।
তাদের মৃত্যু অনিবার্য ছিল না।
তারা অনলাইনে ক্ষতিকর কনটেন্টের শিকার হয়েছিল।
কোনো শিশুরই ডিজিটাল জগতে শোষিত হওয়া উচিত নয়।”
তথ্য সূত্র: পিপল