বন্ধুর ‘প্রতারণা’ ধরিয়ে দেওয়ায় মেডিকেল ছাত্রের উপর ক্ষেপে গেলেন সবাই!

মেডিকেল ছাত্রের বিরুদ্ধে সহপাঠীর নোট জমা দেওয়ার অভিযোগ, বন্ধুদের চোখে ‘ছোটলোকি’।

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ হয়েছে। এক মেডিকেল ছাত্র তাঁর সহপাঠীর বিরুদ্ধে নিজের নোট জমা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন, যার জেরে বন্ধুদের কাছ থেকে তিনি শুনতে হচ্ছে ‘ছোটলোকি’ কথা।

ঘটনাটি ঘটেছে একটি অনলাইন ফোরামে, যেখানে ওই ছাত্র তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

২২ বছর বয়সী ওই ছাত্র জানিয়েছেন, তাঁর এক বন্ধু, যাকে তিনি ‘জ্যাক’ নামে ডাকেন, তাঁর সঙ্গে পরীক্ষার জন্য মাঝে মাঝে পড়াশোনা করতেন।

ওই ছাত্র পরীক্ষার জন্য নিজের হাতে তৈরি করা কিছু নোট জ্যাকের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। নোটগুলোতে তিনি ছবি, ব্যাখ্যা এবং কিছু মনে রাখার কৌশল যুক্ত করেছিলেন।

ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর, ওই ছাত্র জানতে পারেন যে তাঁরই তৈরি করা একটি কৌশল তাঁর এক অধ্যাপক ক্লাসে ব্যবহার করেছেন।

অধ্যাপক বিষয়টি উল্লেখ করার সময় কোনো শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করেননি। এতে ছাত্রটি বেশ বিস্মিত হন।

পরে তিনি জানতে পারেন, জ্যাক তাঁর নোটগুলো জমা দিয়েছিলেন এবং নিজের নাম ব্যবহার করেছিলেন।

ওই ছাত্র জানান, যখন তিনি জ্যাককে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তখন জ্যাক বিষয়টি হালকাভাবে উড়িয়ে দেন। জ্যাক বলেন, “আরে, এটা তো শুধু নোট ছিল, এত সিরিয়াস হওয়ার কি আছে!”।

এরপরে ওই ছাত্র সিদ্ধান্ত নেন, তিনি বিষয়টি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একাডেমিক সততা বিভাগে’ জানাবেন।

কারণ, তাঁর মতে, এটি সরাসরি প্লেজারিজম বা নকলের পর্যায়ে পড়ে।

বর্তমানে জ্যাকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং সম্ভবত তিনি অতিরিক্ত ক্রেডিট হারাবেন অথবা আরও কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবেন।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের অন্যান্য বন্ধুরা ওই ছাত্রকে ‘ছোটলোক’ বলছেন এবং বলছেন যে, বিষয়টি তিনি ব্যক্তিগতভাবে মিটিয়ে নিতে পারতেন।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে অনেকে ওই ছাত্রকে সমর্থন করেছেন।

তাঁদের মতে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পড়াশোনা করার সময়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে আরও বেশি সততা আশা করা হয়।

কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে, জ্যাকের এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন, বন্ধুদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটলে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করা উচিত ছিল।

তবে, ছাত্রটি জানিয়েছেন, তিনি যখন জ্যাকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন, তখন জ্যাক বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।

এ ঘটনা প্রমাণ করে, একাডেমিক জগতে সততা এবং নৈতিকতার গুরুত্ব কতখানি।

একইসঙ্গে, বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মতের অমিল কিভাবে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, সেটিও স্পষ্ট।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *