একজন অভিযুক্তের করা মন্তব্য কিভাবে তার বিরুদ্ধেই কাজে লাগে, সেই বিষয়ে একটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ হয়েছে।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বহুল আলোচিত মামলায়, অভিযুক্ত কারেন रीडের করা কিছু মন্তব্য তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে প্রসিকিউশন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, জন ও’কিফ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় কারেন रीडের বিচার চলছে।
তবে বিচার শুরুর আগে এবং বিচার চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমে দেওয়া কারেন रीडের কিছু বক্তব্য এখন মামলার গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে।
আইনজীবীরা বলছেন, অভিযুক্তের নীরব থাকার অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ এর মাধ্যমে আত্ম-সমালোচনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য নন।
তবে গণমাধ্যমে করা তার কোনো মন্তব্য, যা বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত, তা মামলার শুনানিতে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
কারেন रीडের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটছে।
প্রসিকিউটররা বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণের সঙ্গে তার দেওয়া কিছু বক্তব্যও তুলে ধরছেন, যা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সহায়ক হতে পারে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি বিচার শুরুর আগে বা চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেন, তবে তা তার মামলার ফলাফলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কারণ, এই ধরনের মন্তব্য মামলার শুনানিতে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং তা বিচারকদের মনে অভিযুক্ত ব্যক্তির সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা তৈরি করতে পারে।
আদালতে কারেন रीडের আইনজীবীগণ তার করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে আপত্তি জানালেও, প্রসিকিউশন তা আমলে নেয়নি।
তারা বলছেন, কারেন रीडের দেওয়া বক্তব্যগুলোতে মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নতুন তথ্য রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি সাক্ষাৎকারে কারেন रीड বলেছিলেন যে, তিনি ও’কিফকে গাড়ি থেকে নামতে দেখেছিলেন।
প্রসিকিউটররা এই ধরনের মন্তব্যগুলো প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে চাইছেন।
শুধু কারেন रीडের মামলা নয়, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
রবার্ট ডার্স্ট ও স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড-এর মতো আলোচিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও তাদের করা কিছু মন্তব্য মামলার ফলাফলে প্রভাব ফেলেছিল।
রবার্ট ডার্স্ট তার বিরুদ্ধে আনা হত্যার অভিযোগের বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যা পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ এফটিএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রাইড, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে করা কিছু মন্তব্যের কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন।
আইনজ্ঞদের মতে, অভিযুক্ত ব্যক্তির করা মন্তব্য মামলার জন্য একটি বিপদজনক দিক।
কারণ, এই ধরনের মন্তব্য মামলার প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে।
তাই, আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন।
তথ্যসূত্র: CNN