**চেলসির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই**
মহিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে, কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে চেলসি ফুটবল ক্লাব। প্রথম লেগে বার্সেলোনার কাছে ৪-১ গোলে পরাজিত হওয়ার পর, তাদের সামনে এখন বিশাল এক চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয় লেগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষকে হারাতে হলে অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হবে।
ইউরোপীয় ফুটবলে বার্সেলোনার আধিপত্য অনেক দিনের। পরিসংখ্যান বলছে, কোনো দল প্রথম লেগে হারের পর, বার্সেলোনার বিপক্ষে সাধারণত ঘুরে দাঁড়াতে পারে না। তারা এই প্রতিযোগিতায় টানা ১৭টি দ্বিমুখী লড়াইয়ে জিতেছে।
এবারও তারা ৩ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আছে। এমন অবস্থায়, চেলসির জন্য ঘুরে দাঁড়ানোটা রীতিমতো কঠিন।
ফুটবল ইতিহাসে অবশ্য অনেক অসাধ্য সাধন হয়েছে। পুরুষদের ফুটবলে বার্সেলোনার কিছু স্মরণীয় প্রত্যাবর্তন রয়েছে, যা ফুটবলপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৭ সালে প্যারিস সেন্ট-জার্মেইনের বিপক্ষে সের্হি রবার্তোর শেষ মুহূর্তের গোলে বার্সেলোনার জয় অন্যতম।
তবে, মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এমনটা দেখা যায় না। সাধারণত, কোনো দল ৩ গোলের বেশি পিছিয়ে থেকে ফিরে আসতে পারেনি। চেলসির জন্য দুঃসংবাদ হলো, অ্যাওয়ে গোলের নিয়মও এবার কার্যকর নেই।
ফলে, প্রথম লেগে স্যান্ডি বাল্টিমোরের করা গুরুত্বপূর্ণ গোলটির গুরুত্ব কিছুটা কমে গেছে।
বার্সেলোনার নারী দল তাদের সেরা ফর্মে রয়েছে। তারা ২০১৯ সালের ইউরোপীয় ফাইনালের পর আর কোনো ম্যাচে ৩ গোলের বেশি ব্যবধানে হারেনি। সেই ম্যাচে তারা লিওঁর কাছে হেরেছিল।
চেলসির জন্য কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। এই মৌসুমে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে ২ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও ম্যানচেস্টার সিটিকে পরাজিত করে দারুণভাবে ফিরে এসেছিল।
সেই ম্যাচে বাল্টিমোর, নাতালি বিজর্ন এবং মায়রা রামিরেজের গোলে তারা ম্যাচে ফেরে।
তবে, এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা)। স্টেডিয়ামের পরিবেশ কেমন থাকে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। কারণ, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দর্শকদের সমর্থনও অনেক বড় একটা বিষয়।
স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
চেলসির সমর্থকদের জন্য, তাদের দলকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে খেলায় নিজেদের পারফরম্যান্স উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে, বার্সেলোনার রক্ষণভাগে চাপ সৃষ্টি করতে হলে, বল দখলের ক্ষেত্রে উন্নতি আনা জরুরি।
প্রথম লেগে বার্সেলোনার বক্সে চেলসি মাত্র ১২ বার বল স্পর্শ করতে পেরেছিল এবং তাদের থেকে অর্ধেকেরও কম পাস সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিল।
চেলসির খেলোয়াড় লুসি ব্রোঞ্জ তার সতীর্থদের মনোবল বাড়াতে চেষ্টা করছেন। তিনি বলেছেন, হাল ছাড়লে চলবে না, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
তবে, বার্সেলোনার বর্তমান ফর্ম বিবেচনা করলে, তাদের ৪-১ ব্যবধানে হারানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান