এক সময়ের প্লেবয় তারকা, কারিসা এবং ক্রিস্টিনা শ্যানন-এর জীবন এখন আগের থেকে অনেক ভিন্ন। তাঁদের পরিচিতি ছিল প্লেবয় মডেল হিসেবে, কিন্তু বর্তমানে তাঁরা পুরনো জৌলুস ছেড়ে এক নতুন জীবনের সন্ধান করছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের অতীতের ঝলমলে দিনগুলোর কথা, সেই সঙ্গে কিভাবে তাঁরা জীবনের কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে নতুন করে বাঁচতে শিখেছেন।
মিশিগানের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম কারিসা ও ক্রিস্টিনার। অভাবের কারণে অল্প বয়সেই তাঁদের পড়াশোনা ছাড়তে হয়। পরিবারের ভালো ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা বিভিন্ন কাজ করতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে, তাঁদের মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয় এবং দ্রুতই তাঁরা পরিচিতি পেতে শুরু করেন।
সতেরো বছর বয়সে প্লেবয়ের সাথে তাঁদের সম্পর্ক হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা প্লেবয় ম্যাগাজিনের জন্য ছবি তোলেন এবং টেলিভিশন শো-তেও কাজ করেন।
তাঁরা জানান, প্লেবয় জীবন তাঁদের অনেক সুযোগ এনে দিয়েছিল, তবে সেই সময়ে তাঁরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
সেখানকার জীবনযাত্রা তাঁদের জন্য ছিল সম্পূর্ণ নতুন এবং অপ্রত্যাশিত। তাঁরা বলেন, “টিভি-তে যা দেখানো হতো, পর্দার পেছনের ঘটনা ছিল তার থেকে অনেক আলাদা।”
প্লেবয়ের দুনিয়ায় তাঁদের অভিজ্ঞতা ভালো-মন্দ মিশিয়ে ছিল। খ্যাতি এবং সাফল্যের পাশাপাশি তাঁরা ঈর্ষা, একাকিত্ব এবং মানসিক কষ্টের শিকার হয়েছিলেন।
সেই সময়ে তাঁরা নিজেদের ধর্ম থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে, তাঁরা উপলব্ধি করেন যে এই জীবন তাঁদের জন্য নয়।
তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যান, যা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
সেই কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, এই যমজ বোন লস অ্যাঞ্জেলেস ছেড়ে মিশিগানে ফিরে আসেন।
সেখানে তাঁরা নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টা করেন। তাঁদের জীবনে আসে নতুন এক মোড়, যখন তাঁরা তাঁদের হারানো বিশ্বাস ফিরে পান এবং সুস্থ জীবনের পথে যাত্রা শুরু করেন।
তাঁরা জানান, এই পরিবর্তনের ফলে তাঁরা এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক হয়েছেন।
বর্তমানে, কারিসা ও ক্রিস্টিনা তাঁদের পুরনো জীবনের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। তাঁরা নতুন করে ক্যারিয়ার শুরু করতে আগ্রহী এবং ভবিষ্যতে মা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
তাঁদের মতে, তাঁরা এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত এবং জীবনের প্রতি আরও সচেতন। তাঁরা তাঁদের ভক্তদের সঙ্গে তাঁদের জীবনের নতুন দিকগুলো শেয়ার করতে চান।
তাঁরা চান, তাঁদের এই নতুন যাত্রা যেন অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
তথ্য সূত্র: পিপল