ইউক্রেনে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার (নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ নেই) দেশটির বিভিন্ন শহরে এই হামলা চালানো হয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ বন্ধ করার আগ্রহ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা যায়, রবিবার সকালে খেরসন শহরে বিমান হামলায় চারজন আহত হয়েছে।
এছাড়া, দনেৎস্ক অঞ্চলের প্রসিকিউটর অফিসের ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী, রাশিয়া শহরটির ফ্রন্ট লাইন থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে।
এতে নিহতদের মধ্যে একজন দম্পতি (৪৭ ও ৪৮ বছর বয়সী) এবং একজন বৃদ্ধ (৭৮) রয়েছেন।
হামলায় ২১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাওয়া ছবিতে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত একতলা বাড়ি এবং পুড়ে যাওয়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, রাশিয়ার ছোড়া ১৪৯টি বিস্ফোরক ড্রোন ও কিছু ভুয়া লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে তারা ৫৭টিকে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া, ৬৭টি ড্রোনকে অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে। ড্রোন হামলায় ওডেসা অঞ্চলে একজন এবং ঝাইটোমিরে আরও একজন আহত হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ট্রাম্প প্রায়ই বলতেন, তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন।
তবে বাস্তবে সেটি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে তিনি ইতালিতে যান। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ হয়।
ট্রাম্প আবারও রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অন্যদিকে, রাশিয়ার তদন্তকারীরা মস্কোর কাছে একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনেছে।
নিহত ওই কর্মকর্তার নাম ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক (৫৯)। শুক্রবার বাল্যাশিখা শহরে বোমা হামলায় তিনি নিহত হন।
ক্রেমলিন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কিয়েভকে দায়ী করেছে। রাশিয়ার তদন্ত কমিটির বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইগনাৎ কুজিন নামের সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ইউক্রেনে বাস করতেন।
তিনি মোসকালিককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী তাকে ভাড়া করেছিল।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা