নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনার কাছে বিধ্বস্ত চেলসি, ফাইনালে তারা।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে, নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনার কাছে ১-৪ গোলে পরাজিত হওয়ার ফলে, দুই লেগ মিলিয়ে তাদের পরাজয় হয়েছে ২-৮ ব্যবধানে।
এই হারের ফলে চলতি মৌসুমে চেলসির চারটি গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জেতার স্বপ্ন ভেঙে গেল।
খেলা শুরুর আগে, প্রথম লেগে ১-৪ গোলে পিছিয়ে থাকা চেলসির জন্য এই ম্যাচ ছিলো ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সেলোনার আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে তারা অসহায় হয়ে পড়ে।
বার্সেলোনার হয়ে aitana bonmatí-এর অসাধারণ নৈপুণ্যে প্রথম গোলটি আসে, যা চেলসির রক্ষণভাগের দুর্বলতা প্রমাণ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই ইভা পাজোর এবং ক্লদিয়া পিনার গোলে বার্সেলোনা ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়।
প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর, চেলসির খেলোয়াড়দের মধ্যে যেন হতাশা নেমে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে চেলসি কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও, বার্সেলোনার আক্রমণভাগকে তারা সেভাবে থামাতে পারেনি।
ম্যাচের শেষ দিকে সালমা পারালুয়েলো আরও একটি গোল করে বার্সেলোনার জয় নিশ্চিত করেন। চেলসির হয়ে একমাত্র সান্ত্বনার গোলটি করেন উইকি ক্যাপটেইন।
বার্সেলোনার এই জয়ের ফলে তারা টানা পঞ্চমবারের মতো নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো। অন্যদিকে, চেলসির জন্য এই হার ছিল খুবই হতাশার।
এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার তারা বার্সেলোনার কাছে সেমিফাইনালে পরাজিত হলো। চেলসির নতুন ম্যানেজার সোনিয়া বোমপাস্টরের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ছিল অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
তবে এই পরাজয় তাদের সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ালো।
খেলা শেষে ফুটবল বোদ্ধারা মনে করছেন, বার্সেলোনার ফুটবল কৌশল এবং খেলোয়াড়দের দক্ষতা চেলসির থেকে অনেক এগিয়ে। এই ম্যাচে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান