লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সেখানে আঘাত হানল তারা। রবিবার দিনের এই হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তবে হামলার আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে এলাকা ছাড়ার জন্য সময় দিয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অঞ্চলে শান্তি ফেরানোর পথে এটি একটি বড় বাধা। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে এলাকা ছাড়তে শুরু করে এবং আকাশে গুলির শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা হিজবুল্লাহর স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর আগে, গত মার্চ ও এপ্রিল মাসেও বৈরুতের ওই এলাকায় হামলা চালানো হয়েছিল। এপ্রিলের ১ তারিখে চালানো হামলায় হিজবুল্লাহর একজন কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়।
অন্যদিকে, হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা শেখ নাঈম কাসেম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত থাকলে এবং লেবানন সরকার যদি তা বন্ধ করতে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তারা ভিন্ন পথে হাঁটতে বাধ্য হবে। কাসেম আরও জানান, যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েলি সৈন্য লেবাননের ভূখণ্ডে অবস্থান করবে এবং তাদের বিমানবাহিনী দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘন করবে, ততদিন হিজবুল্লাহ অস্ত্র ত্যাগ করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েলের সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও, তারা এখনো লেবাননের কিছু অংশে অবস্থান করছে। লেবাননের সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে মোতায়েন হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েলকে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা হামলা বন্ধ করে এবং লেবাননের ভূমি থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয়।
রবিবার দিনের শুরুতে, ইসরায়েলের একটি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননের হালতা গ্রামে একজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তি হিজবুল্লাহর সদস্য ছিলেন এবং তিনি সেখানে সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনের চেষ্টা করছিলেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর সূত্রে জানা যায়।