বিখ্যাত হলিউড তারকা গ্রেটা গার্বো, যিনি তাঁর “আমি একা থাকতে চাই” উক্তির জন্য পরিচিত, পর্দার আড়ালে কেমন ছিলেন? তাঁর জীবন নিয়ে তৈরি একটি নতুন তথ্যচিত্র সেই ধারণাই বদলে দিতে চলেছে।
“গার্বো: হোয়ার ডিড ইউ গো?” শিরোনামের এই তথ্যচিত্রে দেখা যাবে, রুপালি পর্দার এই রহস্যময়ী নারী আসলে কতটা স্বাভাবিক, হাসিখুশি এবং বন্ধু বৎসল ছিলেন।
ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা লর্না টাকার এই তথ্যচিত্রের জন্য গার্বোর ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু দুর্লভ দৃশ্য এবং চিঠি ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন। এইসব দৃশ্যে গার্বোকে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা ও আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়।
গার্বোর জীবনের এই দিকটি এতদিন পর্দার আড়ালেই ছিল। তথ্যচিত্রটি প্রমাণ করে যে, খ্যাতি এবং প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্রে গার্বোর নিজস্ব কিছু কারণ ছিল।
খ্যাতি পাওয়ার পর তিনি ব্যক্তিগত জীবনকে আড়াল করতে চেয়েছিলেন। কারণ হিসেবে সংবাদমাধ্যম এবং পাপারাজ্জিদের বাড়াবাড়িও ছিল। গার্বো চাইতেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যেন কেউ কৌতূহল প্রকাশ না করে।
গার্বোর জন্ম হয়েছিল সুইডেনে, গ্রেটা গস্তাভসন নামে। দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা এই মেয়েটি পরবর্তীতে স্টকহোমের রয়্যাল ড্রামাটিক থিয়েটারে অভিনয়ের সুযোগ পান।
এরপরই পরিচালক মরিতজ স্টিলার তাঁর নাম পরিবর্তন করে গ্রেটা গার্বো রাখেন এবং হলিউডে নিয়ে আসেন। ১৯৪১ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নেন।
এরপর তিনি প্রায় একাই জীবন কাটিয়েছেন।
তথ্যচিত্রটিতে গার্বোর জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে, যেমন তাঁর শৈশব, চলচ্চিত্র জীবন এবং অপ্রত্যাশিত অবসর গ্রহণ। গার্বোর নাতিনাতনির কাছ থেকে পাওয়া দুই শতাধিক চিঠিও এই তথ্যচিত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
চিঠিগুলোতে গার্বোর ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রতিফলন ঘটেছে, যা তাঁর জীবনের অজানা দিক উন্মোচন করে।
এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছে এমব্যাঙ্কমেন্ট নামের একটি স্বাধীন চলচ্চিত্র সংস্থা, যারা “দ্য ফাদার”-এর মতো প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে।
আগামী ১৪ই মে, স্কাই আর্টস, ফ্রিভিউ এবং নাও-তে এই তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান