কুকুরকে হারিয়ে দিশেহারা! আমার প্রথম কুকুর দৌড়ের করুণ অভিজ্ঞতা

বাংলাদেশে কুকুর প্রেমীদের মধ্যে পোষা প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে তাদের স্বাস্থ্য ও খেলাধুলার সুযোগ তৈরির আগ্রহ। এরই ধারাবাহিকতায়, বিদেশি সংস্কৃতির আদলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ডগ অ্যাজিলিটি বা কুকুরদের ক্ষিপ্রতা প্রদর্শনী বিষয়ক খেলা।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া এমন একটি প্রতিযোগিতার কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো, যেখানে কুকুর ও তাদের প্রশিক্ষকদের এক ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতা দেখা গেছে।

ডগ অ্যাজিলিটি মূলত কুকুরের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা যাচাইয়ের একটি খেলা। যেখানে প্রশিক্ষক তার কুকুরকে বিভিন্ন ধরণের বাধা-বিপত্তি যেমন জাম্প, টানেল, ব্যালেন্স বীম অথবা ওয়েভিং পোল অতিক্রম করতে নির্দেশ দেন।

এই খেলাটি একদিকে যেমন কুকুরদের শারীরিক কসরত করায়, তেমনি তাদের বুদ্ধিমত্তারও পরিচয় দেয়। প্রশিক্ষকের সঠিক দিকনির্দেশনা ও কুকুরের ক্ষিপ্রতা এই খেলার মূল আকর্ষণ।

প্রতিযোগিতায় কুকুরগুলোকে তাদের আকার ও দক্ষতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা হয়। এখানে সাধারণত বর্ডার কলি (Border Collie) সহ অন্যান্য জাতের কুকুরদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

তবে, যেকোনো মিশ্র জাতের কুকুরও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে। প্রশিক্ষকরা সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সী হয়ে থাকেন, তবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, প্রশিক্ষককে আগে মাঠ পরিদর্শন করে কুকুরকে কিভাবে খেলাটি সম্পন্ন করতে হবে, তার কৌশল তৈরি করতে হয়। খেলা চলাকালীন সময়ে বিচারকরা তাদের স্কোরিং করেন।

কোনো প্রতিযোগী ভুল করলে, তাকে সেই রাউন্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়।

এই ধরনের খেলাধুলা বাংলাদেশে এখনো খুব একটা পরিচিত নয়, তবে বিশ্বজুড়ে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আমাদের দেশেও যদি এর প্রচলন শুরু হয়, তাহলে কুকুর এবং তাদের মালিকদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।

এছাড়াও, কুকুরদের জন্য এটি শারীরিক ও মানসিক বিকাশের চমৎকার সুযোগ তৈরি করবে।

কুকুরদের খেলাধুলা বিষয়ক এমন আয়োজন নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। এর মাধ্যমে মানুষজন যেমন পোষা প্রাণী সম্পর্কে আরও সচেতন হবে, তেমনি তাদের সুস্থ জীবনযাপনে উৎসাহিত হবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *