কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন নির্বাচনী হাওয়া। আসন্ন ফেডারেল নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে নেমেছেন দুই হেভিওয়েট: ক্যার্নি এবং পলিএভ্রে। নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের, যা কানাডার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থা সংসদীয় পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে গঠিত। এখানে সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি সাধারণত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলের নেতা হয়ে থাকেন।
এবারের নির্বাচনে প্রধান দলগুলোর মধ্যে চলছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। একদিকে যেমন রয়েছেন ক্যার্নি, যিনি হয়তো একটি সুপরিচিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তেমনিভাবে পলিএভ্রেও নির্বাচনে জয়ের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন।
তাদের দল এবং নীতি নির্ধারণী বিষয়গুলো ভোটারদের মধ্যে আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধান ইস্যুগুলো হলো দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যখাত এবং পরিবেশ বিষয়ক নীতি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন দলের কর্মপরিকল্পনা ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যখাতে উন্নত পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও শোনা যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশেও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়।
নির্বাচনী জনমত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, এবারের নির্বাচন বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে। কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি।
ফলে সরকার গঠনে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে, সরকার পরিচালনায় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমঝোতা ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
কানাডার নির্বাচন শুধু দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব রয়েছে। বিশেষ করে, অভিবাসন নীতি, বাণিজ্য চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রভাব দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে যারা কানাডায় অভিবাসন প্রত্যাশী, তাদের জন্যেও এই নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, নতুন সরকার অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে, যা তাদের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলবে।
সব মিলিয়ে, কানাডার আসন্ন নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের ফলাফল দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা বেশি। এখন সবার দৃষ্টি সেদিকেই।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা