আর্জেন্টিনার এক নারীর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে পোপ ফ্রান্সিসের জীবনের এক ভিন্ন অধ্যায়। যিনি একসময় ফাদার জোর্জে মারিও বের্গোগলিও নামে পরিচিত ছিলেন, সেই সময়ের কথা বলছেন আনা মারিয়া বেলমন্ট।
১৯৭০-এর দশকে যখন বের্গোগলিও আর্জেন্টিনার সান মিগুয়েলে যিশু সংঘের সঙ্গে কাজ করতেন, তখন থেকেই তিনি বেলমন্টের পরিচিত ছিলেন।
বেলমন্ট জানান, “যিশু সংঘের ফাদাররা তখন মেয়েদের জন্য পরিচালিত ধর্মীয় বিদ্যালয়গুলোতে সাহায্য করতেন।
তাদের সঙ্গেই আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, বিশেষ করে কোলেজিও ম্যাক্সিমোর সঙ্গে, যেখানে আমি প্রায়ই যেতাম।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমার ছেলে জুয়ান পাবলোর যখন পাঁচ-ছয় বছর বয়স, তখন সে প্রায়ই আমার নজর এড়িয়ে গিয়ে ফাদার বের্গোগলিও’র (পোপের) সময় মোমবাতি নেভাতে যেত।”
পোপ ফ্রান্সিস হিসেবে পরিচিত হওয়ার আগে বের্গোগলিও কেমন ছিলেন, সেই বিষয়ে বেলমন্ট বলেন, “তখন তিনি খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন।
সবসময় চুপচাপ থাকতেন।
কাউকে তোয়াক্কা করতেন না।
তিনি কখনোই গাড়িতে চড়তে রাজি হতেন না, এমনকি কারো সাহায্যও নিতেন না।
তিনি নিজের কাজ নিজে করতে পছন্দ করতেন।”
২০১৩ সালে যখন বের্গোগলিও পোপ নির্বাচিত হন, তখন তার মধ্যে এক বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করেন বেলমন্ট।
তিনি বলেন, “পোপ হওয়ার পর তার চরিত্রে পরিবর্তন আসে।
তিনি আরও মিশুক, হাসিখুশি এবং আনন্দপূর্ণ হয়ে ওঠেন।
আমরা এটাকে ‘রাজ্যের অনুগ্রহ’ বলি।
অর্থাৎ, পোপের দায়িত্ব তাকে মানুষের আরও কাছে নিয়ে আসে।”
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বেলমন্ট বলেন, “আমি কখনোই ভাবিনি তিনি পোপ হবেন।
তবে আর্চবিশপ পর্যায়ে তার যে গুণাবলী ছিল, কার্ডিনালরা তা জানতেন এবং সে কারণেই তারা তাকে পোপ হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন।”
পোপ হওয়ার আগে এবং পরে, সবসময়ই তিনি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি ছিলেন।
বেলমন্টের ভাষায়, “তিনি মানুষের খুব কাছের মানুষ ছিলেন, এবং একইসাথে তিনি ছিলেন একজন বুদ্ধিমান ও সক্ষম ব্যক্তি।”
তথ্যসূত্র: পিপল