অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে এক ভয়াবহ হাঙরের আক্রমণের শিকার হওয়া এক নারীকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এক সাহসী ব্যক্তি। ৭ই মার্চ, বুনডিনা’র গানইয়া সমুদ্র সৈকতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায়, ৫৭ বছর বয়সী মাংয়ন “মানি” ঝাং-কে একটি বুল শার্ক আক্রমণ করে।
সৌভাগ্যবশত, ব্ল্যাক ডোনাল্ডসন নামের এক ব্যক্তি, যিনি সমুদ্রের কাছেই ছিলেন, দ্রুততার সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঐ নারীকে উদ্ধার করেন।
জানা যায়, ঝাং সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ করেই তার পায়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন যে, একটি হাঙর তাকে কামড় দিয়েছে।
ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। কিন্তু ডোনাল্ডসন, যিনি কাছেই ছিলেন, কোনো দ্বিধা না করে সঙ্গে সঙ্গে পানিতে ঝাঁপ দেন।
তিনি জানান, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি ওই নারীকে বাঁচাতে ছুটে যান।
ডোনাল্ডসনের তৎপরতার কারণে দ্রুতই ঝাং-কে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। এরপর ডোনাল্ডসনের সঙ্গিনী, এলেন মেলচার্ট, দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
ততক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান প্যারামেডিক মার্কো আইয়েলি। তিনি জানান, ঝাং-এর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
দ্রুত চিকিৎসার ফলে ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন।
হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর জীবন ফিরে পাওয়া ঝাং, ডোনাল্ডসন এবং মেলচার্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার জীবন বাঁচানোর জন্য আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।” ডোনাল্ডসন এই ঘটনার পর নিজেকে একজন “হিরো” হিসেবে মনে করেন না, তবে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি সত্যিই একজন মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
ঘটনার বিস্তারিত জানা যায় অস্ট্রেলিয়ার ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে।
সাক্ষাৎকারে ঝাং-এর জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়।
এই ঘটনার মাধ্যমে একদিকে যেমন একজন সাহসী মানুষের মানবিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনি জীবনের প্রতি মানুষের অদম্য ভালোবাসাও ফুটে ওঠে।
তথ্য সূত্র: পিপল