ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। আগামী ৭ই মে মধ্যরাত থেকে ১০ই মে মধ্যরাত পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মূলত, ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই এই ঘোষণা এলো, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়া এই সময়ে তাদের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে। একইসাথে, কিয়েভকেও এই যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে, রাশিয়া সতর্ক করে বলেছে, যদি ইউক্রেনীয় পক্ষ থেকে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তাহলে তার ‘যথাযথ ও কার্যকর জবাব’ দেওয়া হবে।
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার জন্য ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের একটি কৌশল হতে পারে।
এছাড়া, আগামী ৯ই মে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। এই বিশেষ দিনটিকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়া তাদের ভাষায়, এই যুদ্ধকে ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণার ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ উত্তেজনা প্রশমনে কিছুটা সাহায্য করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ইউক্রেন এই প্রস্তাবের প্রতি কিভাবে সাড়া দেয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা