বঞ্চিত ইংল্যান্ড! ওভার রেটেরpenalties নিয়ে ICC-র সিদ্ধান্তে হতাশ বেন স্টোকস

টেস্ট ক্রিকেটে স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানা বহাল রাখল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস অসন্তুষ্ট।

মূলত, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (ডব্লিউটিসি) স্লো ওভার রেটের কারণে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট কাটার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছিলেন। কিন্তু আইসিসি সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ঘন্টায় ১৫ ওভার বল করতে হয়। এই নিয়ম ভাঙলে জরিমানা করা হয় এবং পয়েন্টও কাটা যায়। ইংল্যান্ড দল এই নিয়মের কারণে ডব্লিউটিসি-তে ২২ পয়েন্ট হারিয়েছে, যার ফলে তারা পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে নেমে আসে।

বেন স্টোকস মনে করেন, এই নিয়মটি কিছু ক্ষেত্রে দলগুলির প্রতি অবিচার করে। বিশেষ করে, যেসব দল পেস-বান্ধব উইকেটে বেশি খেলে, যেখানে ওভার রেট স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে, তাদের জন্য এই নিয়ম আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সাধারণত এশিয়া মহাদেশে স্পিনাররা বেশি বল করে বলে সেখানে ওভার রেটের সমস্যা হয় না। কিন্তু অন্যান্য কন্ডিশনে, যেখানে পেসারদের বেশি ভূমিকা থাকে, সেখানে এই সমস্যা দেখা দেয়।

ফিল্ডিং সাজানো বা বোলার পরিবর্তনের মতো কৌশলগত সিদ্ধান্তের কারণেও সময় বেশি লাগতে পারে।

ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক রব কী-ও আইসিসির কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি যুক্তি দেন, এই ধরনের কঠোর নিয়ম চ্যাম্পিয়নশিপের ফলাফলের ওপর বড় প্রভাব ফেলে।

যদিও ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, আইসিসি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে।

২০২৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে স্লো ওভার রেটের কারণে ইংল্যান্ডের ১৯ পয়েন্ট কাটা গিয়েছিল। এছাড়া, গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে তাদের ৩ পয়েন্ট কাটা হয় এবং খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি-র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।

আসন্ন ডব্লিউটিসি চক্রে, অর্থাৎ ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত, এই নিয়ম অপরিবর্তিত থাকবে। ইংল্যান্ডের জন্য বিষয়টি আরও কঠিন হতে পারে, কারণ তাদের অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে টেস্ট খেলতে যেতে হবে, যেখানে পেস বোলারদের আধিপত্য বেশি থাকে।

এছাড়া, ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা বাংলাদেশেও টেস্ট খেলতে আসবে।

স্টোকস মনে করেন, আইসিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের আরও বেশি আলোচনা করা উচিত। কারণ, মাঠের পরিস্থিতি এবং খেলার ধরনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

তাঁর মতে, একটি ‘সবাইয়ের জন্য একই নিয়ম’ (one-size-fits-all) পদ্ধতি সবসময় সঠিক ফল দেয় না।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *