আতঙ্কে পরিবার! এমপিদের মৃত্যু নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইল ‘নি ক্যাপ’

ব্রিটিশ এমপিদের হত্যার আহ্বান জানানোয় ক্ষমা চাইল আইরিশ র‍্যাপ ব্যান্ড ‘নি-ক্যাপ’। যুক্তরাজ্যের দুই নিহত সংসদ সদস্যের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে আইরিশ ভাষার র‍্যাপ ব্যান্ড ‘নি-ক্যাপ’।

সম্প্রতি তাদের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে শোনা যায় তারা রাজনীতিবিদদের হত্যার আহ্বান জানাচ্ছে। নিহত এমপিরা হলেন ডেভিড এমিস ও জো কক্স।

২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি কনসার্টের ভিডিওতে ব্যান্ডের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায়, “একজন ভালো টোরি হলো মৃত টোরি। নিজের এলাকার এমপিকে হত্যা করো।” এই মন্তব্যের পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতা সহ অনেকে এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ডেভিড এমিসের মেয়ে কেটি এমিস এই মন্তব্যে হতবাক হয়েছেন এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ডেভিড এমিসকে ২০২১ সালে তার নির্বাচনী এলাকায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক জঙ্গি হত্যা করে।

সোমবার, নি-ক্যাপ তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে।

বিবৃতিতে তারা জানায়, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রম নিয়ে তারা কথা বলায় তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে।

তারা আরও দাবি করে, সমালোচকেরা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

ক্ষমা প্রার্থনাস্বরূপ, ব্যান্ডটি জানায়, “আমরা এমিস ও কক্স পরিবারের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।

তাদের কষ্ট দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রতিষ্ঠিত কিছু ব্যক্তি আমাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

তারা কয়েক মাস বা বছর আগের কিছু শব্দ তুলে এনে, নৈতিক উন্মাদনা তৈরি করছে। আমরা কখনোই হামাস বা হিজবুল্লাহর প্রতি সমর্থন জানাইনি এবং জানাই না।

আমরা সবসময় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সব ধরনের হামলার নিন্দা জানাই। আমাদের দেশের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই জানি।”

এছাড়াও, তারা কোনো এমপি বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছে।

তাদের মতে, একটি ভিডিও ক্লিপকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এটিকে আলোচনার বিষয়বস্তু বানানোর চেষ্টা চলছে।

এদিকে, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড (যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশ) এমপিদের হত্যার আহ্বান এবং আরও একটি কনসার্টে ‘আপ হামাস, আপ হিজবুল্লাহ’ বলার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, হামাস ও হিজবুল্লাহকে যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *