গাজায় মানবিক সংকট: আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (International Court of Justice – ICJ) গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সেখানকার ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্য সংকট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। হেগে অবস্থিত এই আদালতে সম্প্রতি গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে শুনানি চলছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুনানিতে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলের ভূমিকা এবং সেখানকার মানুষের খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ব্যাহত করার মাধ্যমে ইসরায়েল সেখানকার ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখতে চাইছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
শুনানিতে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষের আইনজীবীরা গাজায় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবের চিত্র তুলে ধরেন। তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশনের আলোকে ইসরায়েলের প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতাগুলো স্মরণ করিয়ে দেন। এই বিষয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাও তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে গাজায় বসবাস করা ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব দেখা দিয়েছে। খাদ্য সংকটের কারণে শিশুদের অপুষ্টির হার বাড়ছে, যা একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এই মামলার শুনানির ফলাফল গাজায় মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালত যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় ত্রাণ সরবরাহ আরও স্বাভাবিক করতে ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি জটিল সমস্যা। বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছে এবং যেকোনো মানবিক সংকটে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা