নিষিদ্ধ’ ম্যাক্স পার্সেলের জীবনে নেমে এল ভয়ঙ্কর শাস্তি!

অস্ট্রেলিয়ার টেনিস খেলোয়াড় ম্যাক্স পার্সেলকে ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অ্যান্টি-ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের দায়ে এই শাস্তি পেলেন তিনি। জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে বালিতে অসুস্থ হওয়ার পর নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত পরিমাণে ইনজেকশন নেওয়ার কারণেই এই শাস্তি।

পুরুষদের ডাবলস বিভাগে খেলোয়াড় ম্যাক্স পার্সেল ২০২২ সালে ইউএস ওপেন এবং উইম্বলডন জেতেন। সেই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই তার বিরুদ্ধে আসে এই অভিযোগ।

টেনিস অ্যান্টি-ডোপিং প্রোগ্রামের ২.২ ধারা ভঙ্গের কারণে তার এই শাস্তি। নিয়ম অনুযায়ী, ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো খেলোয়াড়কে ১০০ মিলি-র বেশি ইনজেকশন দেওয়া যাবে না।

কিন্তু পার্সেল অসুস্থ হওয়ার কারণে, তার শরীরে ৫০০ মিলি-র বেশি তরল প্রবেশ করানো হয়েছিল।

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ)। তদন্তের পর পার্সেলের শাস্তি কিছুটা কমানো হয়েছে, কারণ তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেছিলেন।

স্বেচ্ছায় তিনি এই ঘটনার কথা স্বীকারও করেছিলেন। তাই তাঁর ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ১১ জুন।

এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না, এমনকি কোচিংও করাতে পারবেন না।

পার্সেল জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ ছিলেন বলেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি কোনো নিয়ম ভাঙতে চাননি।

আইটিআইএ-ও স্বীকার করেছে, ইনজেকশনের উপাদানগুলো ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) অনুমোদন ছিল এবং এর মাধ্যমে খেলার পারফরম্যান্স বাড়ানোর কোনো চেষ্টা করা হয়নি।

পার্সেল আরও জানান, এই ঘটনার কারণে তিনি মানসিক দিক থেকেও বিপর্যস্ত ছিলেন। ঘুম এবং খাওয়ার সমস্যা ছাড়াও, তিনি নার্ভাস ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।

আইটিআইএ-র প্রধান নির্বাহী কারেন মুরহাউস বলেছেন, “খেলোয়াড়দের ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু নিষিদ্ধ পদার্থ সেবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি আরও বিস্তৃত।

তিনি আরও যোগ করেন, “টেনিস খেলার সঙ্গে জড়িত সকলের সুরক্ষার জন্য এবং খেলার মাঠকে সবার জন্য সমান সুযোগের জায়গা হিসেবে তৈরি করতে আইটিআইএ সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *