মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি রাজ্যের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী মার্গো নামের এক নারীর অস্ত্রোপচার পরবর্তী চেহারা পরিবর্তনের ঘটনা বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্লাস্টিক সার্জন ডা. মাইক নায়েকের তত্ত্বাবধানে হওয়া এই ফেসলিফটিংয়ের(facelifting) পর মার্গোর চেহারায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন, যা দেখে অনেকেই প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি যে এটি একই ব্যক্তি।
মার্গো মূলত ডা. নায়েকের ‘ইনস্টাগ্রাম’ (Instagram) প্রোফাইল অনুসরণ করা শুরু করেন, যেখানে তিনি অস্ত্রোপচারের আগের ও পরের ছবিগুলো দেখতেন। ধীরে ধীরে এই ছবিগুলোই তাকে অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করে।
মার্গো জানান, তিনি ডা. নায়েককেই তার অস্ত্রোপচারের জন্য বেছে নিয়েছিলেন।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে মিসৌরির সেন্ট লুইসে (St. Louis, Missouri) অবস্থিত ‘নায়ক প্লাস্টিক সার্জারি’তে (Nayak Plastic Surgery) এই অস্ত্রোপচারটি হয়।
ডা. নায়েক জানান, মার্গোর ক্ষেত্রে তিনি একটি সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, যা তার রোগীদের মধ্যে বেশ প্রচলিত। এর মধ্যে ছিল গভীর স্তরের ফেসলিফটিং, ঘাড়ের চামড়া টাইট করা, ভ্রু উত্তোলন, চোখের পাতার অস্ত্রোপচার এবং পুরো মুখে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) লেজার treatment।
অস্ত্রোপচারের পর মার্গোর মুখের কিছু অংশে লালচে ভাব দেখা যায়, কারণ তার ‘রোসেসিয়া’ (rosacea) নামক একটি চর্মরোগ রয়েছে, যা লেজার treatment-এর কারণে আরও বেড়ে গিয়েছিল।
অস্ত্রোপচারের পর মার্গোর সেরে উঠতে সাধারণত দুই থেকে তিন মাস সময় লেগেছিল, তবে এর মধ্যে তিনি ডা. নায়েক এবং তার টিমের সঙ্গে তার পুরো প্রক্রিয়াটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন।
অস্ত্রোপচারের পর তার চেহারা পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং মন্তব্য করেন যে ছবিতে দেখানো ব্যক্তিটি মার্গো নন। এমনকি তার কানের লতিতে হওয়া সামান্য ফোলাও অনেকের কাছে ভিন্নতা এনেছিল।
তবে সময়ের সাথে সাথে যখন ফোলা কমে যায়, তখন তার আসল চেহারাই ফিরে আসে।
বর্তমানে অস্ত্রোপচারের আট মাস পরে মার্গো তার এই পরিবর্তনের জন্য খুবই আনন্দিত। তিনি জানান, তার আত্মবিশ্বাসের কোনো অভাব ছিল না, তবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি চেয়েছিলেন তার বাহ্যিক রূপটি যেন তার ভেতরের অনুভূতির সঙ্গে মিলে যায়।
তিনি আরও বলেন, “আমি সবসময় নিজেকে ৩৫ বছর বয়সের একজন মানুষ হিসেবে অনুভব করতাম। এখন আয়নায় নিজেকে দেখলে মনে হয় আমি যেন আবার আগের মতোই হয়ে গেছি।”
তথ্য সূত্র: পিপল