গরমের আগমনীর সাথে সাথে আরামদায়ক পোশাকের চাহিদা বাড়ে, যা দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। হালকা ও সহজে পরার মতো জ্যাকেট বা টপস-এর বিকল্প নেই।
বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হলো – জিপ-আপ হুডি বা জ্যাকেট।
এই ধরনের পোশাক ভ্রমণের জন্য যেমন উপযুক্ত, তেমনি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যও আরামদায়ক।
জিপ-আপ জ্যাকেটগুলো সাধারণত হালকা ও নরম কাপড়ের হয়ে থাকে, যা গরমের আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের জিপ-আপ জ্যাকেট পাওয়া যায়, যেমন – ফুল-জিপ, হাফ-জিপ, অথবা বিভিন্ন ডিজাইন ও কাটিং-এর জ্যাকেট।
এগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে আলোচনা করা হলো:
* **উপাদান:** জিপ-আপ জ্যাকেটগুলি সাধারণত কটন, পলিয়েস্টার বা ফ্লিসের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। কটন বা সুতির মিশ্রণে তৈরি জ্যাকেট গরমে আরামদায়ক হয় এবং সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে।
ফ্লিসের জ্যাকেট শীতের হালকা আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
* **ডিজাইন ও কাটিং:** বাজারে বিভিন্ন ধরনের জিপ-আপ জ্যাকেট পাওয়া যায়। যেমন – শর্ট বা ক্রপড জ্যাকেট, যা দেখতে স্টাইলিশ এবং আধুনিক।
এছাড়াও, একটু লম্বা বা ওভারসাইজড জ্যাকেট পাওয়া যায়, যা আরামদায়ক এবং ঢিলেঢালা হয়।
এই ধরনের জ্যাকেটগুলো বিভিন্ন ধরণের পোশাকের সাথে পরা যেতে পারে, যেমন – জিন্স, টি-শার্ট বা শার্ট-এর সাথে।
* **ব্যবহার:** জিপ-আপ জ্যাকেট ভ্রমণের সময়, অফিসের ক্যাজুয়াল পোশাকে, অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় পরার জন্য উপযুক্ত।
হালকা ও সহজে বহনযোগ্য হওয়ায়, এটি যেকোনো ব্যাগে রাখা যায়।
জিপ-আপ জ্যাকেট কেনার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে পারেন। যেমন – কাপড়ের গুণমান, ডিজাইন, এবং আপনার শরীরের মাপ অনুযায়ী সঠিক সাইজ নির্বাচন করা।
এছাড়াও, বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন দামের জ্যাকেট পাওয়া যায়।
সাধারণত, ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে, কাপড়ের মান ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে, এই জ্যাকেটের দাম বাড়তে পারে।
বর্তমানে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও লোকাল মার্কেটে জিপ-আপ জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে।
এই পোশাকগুলো একদিকে যেমন আরামদায়ক, তেমনি ফ্যাশনেবলও।
গরমের এই সময়ে, আপনার পোশাকের সংগ্রহে একটি জিপ-আপ জ্যাকেট যোগ করা একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার