ব্রিটিশ গ্যাস-এর ভুলে এক গ্রাহকের বিলে বিরাট গোলমাল: সতর্কবার্তা
সাধারণত বিদ্যুৎ বা গ্যাসের বিল নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের শেষ থাকে না। এবার তেমনই এক বিচিত্র ঘটনার শিকার হয়েছেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাসিন্দা, ডিএফ।
ব্রিটিশ গ্যাস নামক একটি কোম্পানির ভুলে তার অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয় স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরের একটি বাড়ির ঠিকানা। অথচ ডিএফ-এর নিজের বাড়ি লন্ডনে।
এরপর শুরু হয় এক দীর্ঘ ভোগান্তি।
প্রায় এক বছর আগে ডিএফ লক্ষ্য করেন, ব্রিটিশ গ্যাসের মোবাইল অ্যাপে তার অ্যাকাউন্টে গ্লাসগোর একটি বাড়ির ঠিকানা দেখাচ্ছে।
সাথে সাথেই তিনি বিষয়টি কোম্পানিকে জানান। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন করে তিনি বিষয়টি জানান এবং প্রতিকার চান।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও, কোনো সমাধান হয়নি। এরপর তিনি ইমেলের মাধ্যমেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি।
এরপর ডিএফ-এর লন্ডনের ঠিকানায় গ্লাসগোর বাড়ির বিল আসতে শুরু করে।
বিষয়টি যখন চরম আকার ধারণ করে, তখন ডিএফ-এর কপালে চিন্তার ভাঁজ পরে।
কারণ, গ্লাসগোর বাড়ির বিল পরিশোধ না করলে তার ক্রেডিট স্কোরে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। ক্রেডিট স্কোর হলো—ঋণ বা অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির আর্থিক স্বাস্থ্যের সূচক।
বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে ক্রেডিট স্কোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময় মতো বিল পরিশোধ না করলে এই স্কোরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ভুক্তভোগী ডিএফ জানান, তিনি ব্রিটিশ গ্যাসের এই ধরনের সেবায় এতটাই বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে, অন্য কোনো সংস্থায় পরিষেবা নেওয়ার কথা ভাবছিলেন।
কিন্তু গ্লাসগোর বাড়ির ঠিকানার জেরে অন্য সংস্থায়ও পরিষেবা পরিবর্তন করতে পারছিলেন না।
অবশেষে, ডিএফ-এর এই সমস্যার কথা গণমাধ্যমে জানানো হয়।
পরে, ব্রিটিশ গ্যাস কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে এবং জানায়, অন্য একজন গ্রাহকের বাড়ির ঠিকানা পরিবর্তন করার সময় তাদের এক কর্মীর ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে।
ডিএফ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে গ্লাসগোর ঠিকানাটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে গ্রাহক পরিষেবার “ত্রুটি”র জন্য ব্রিটিশ গ্যাস ডিএফ-কে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০০ পাউন্ড (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রায় ১৩,০০০ টাকার সমান) দিতে রাজি হয়।
ভুক্তভোগী ডিএফ-এর এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, বিলিং সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গ্রাহকদের সচেতন থাকা উচিত।
কোনো ভুল হলে দ্রুত তা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা দরকার।
তথ্য সূত্র: The Guardian