মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি চাইলে ভুল করে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো এক ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করবেন না।
ওই ব্যক্তি, কিলমার আরমান্দো অ্যাব্রেগো গার্সিয়া, মেরিল্যান্ডে বসবাস করতেন এবং তাকে গত মাসে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের মাধ্যমে তার এবং তার প্রশাসনের আগের বক্তব্যের সঙ্গে একটি স্পষ্ট বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে।
আগে তারা জানিয়েছিলেন যে, এল সালভাদরের সরকারের হেফাজতে থাকা অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা তাদের নেই। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এর আগে এক রায়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার প্রত্যাবর্তনের ‘সুযোগ করে দেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছিল।
সাক্ষাৎকারে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, “আপনার টেবিলে একটি ফোন রয়েছে।
আপনি চাইলে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে তাকে ফেরত পাঠাতে বলতে পারেন।”
জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি পারতাম, কিন্তু আমি তা করব না।” তিনি আরও যোগ করেন যে, অ্যাব্রেগো গার্সিয়া ‘সেই ব্যক্তি নন’ যিনি এই ধরনের সহযোগিতা পাওয়ার যোগ্য।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অভিবাসন বিষয়ক এক বিচারক রায় দিয়েছিলেন যে, অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানো যাবে না।
কারণ, সেখানে তার জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। জানা যায়, এল সালভাদরের একটি গ্যাং তার পরিবারের ‘পুপসা’ ব্যবসার কারণে তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল।
তবে, অ্যাব্রেগো গার্সিয়াকে ফেরত পাঠানোর কারণ হিসেবে প্রশাসন জানায় যে তিনি কুখ্যাত এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য।
যদিও অ্যাব্রেগো গার্সিয়া এবং তার স্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি, অন্তত একজন ফেডারেল বিচারকও এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প তার সাক্ষাৎকারে অ্যাব্রেগো গার্সিয়ার হাতে থাকা ট্যাটুর কথা উল্লেখ করেন, যেখানে চোখের পাতা, কান ও মুখ বন্ধ করা মাথার খুলি আঁকা ছিল।
পুলিশের নথিতে এই ধরনের ট্যাটুকে ‘হিস্পানিক গ্যাং সংস্কৃতির’ প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতে শুনানির সময়, বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রদানে ‘সদিচ্ছার অভাব’ এবং তাদের দায়িত্ব পালনে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ’ হওয়ার অভিযোগ এনেছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন