ছোট্ট শিশুদের মন মাতানো পাঠ: সেরা বইগুলো!

ছোট শিশুদের জন্য বই পড়া: অভিভাবকদের মনোযোগ কমে যাচ্ছে?

শিশুদের জন্য বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই পড়ার মাধ্যমে তারা নতুন শব্দ শেখে, কল্পনাবিলাসী হয় এবং তাদের মধ্যে একটি গভীর উপলব্ধির জন্ম হয়।

কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট শিশুদের (০-৪ বছর বয়সী) জন্য অভিভাবকদের বই পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

গবেষণাটি প্রকাশ করেছে বই বিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা নিয়েলসেন (Nielsen) এবং হার্পারকলিন্স (HarperCollins)। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১২ সালে যেখানে ৬৪ শতাংশ অভিভাবক শিশুদের নিয়মিত বই পড়তেন, সেখানে বর্তমানে এই হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪১ শতাংশে।

অর্থাৎ, শিশুদের বই পড়ানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

গবেষণায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। দেখা গেছে, অর্ধেক অভিভাবকই শিশুদের বই পড়াটাকে তেমন উপভোগ করেন না।

তাদের মতে, এটি বেশ কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ একটি কাজ।

শিশুদের মানসিক বিকাশে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই তাদের শব্দভাণ্ডার বাড়ায়, কল্পনাশক্তিকে প্রসারিত করে এবং একটি সুস্থ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

অনেক অভিভাবক হয়তো মনে করেন, শিশুদের বই পড়ানোটা তাদের জন্য কঠিন। কিন্তু শিশুদের সঙ্গে গল্প বলার মজাই আলাদা।

একটি সুন্দর গল্পের বই, যা তাদের আগ্রহ যোগায়, সেটি তাদের কাছে শিক্ষামূলক এবং আনন্দদায়ক দুটোই হতে পারে।

তাহলে, শিশুদের জন্য কোন বইগুলো সবচেয়ে ভালো? অভিভাবকদের উচিত শিশুদের উপযোগী, আকর্ষণীয় ও শিক্ষামূলক বই নির্বাচন করা।

রূপকথার গল্প, নীতিমূলক গল্প, কিংবা শিশুদের উপযোগী ছড়া ও কবিতার বই এক্ষেত্রে ভালো বিকল্প হতে পারে।

আমরা অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা আপনাদের শিশুদের জন্য বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। তাদের সঙ্গে গল্প করুন, তাদের প্রশ্ন করুন, এবং তাদের কল্পনার জগৎকে আরও বিস্তৃত হতে দিন।

এতে করে শিশুরা যেমন বইয়ের প্রতি আগ্রহী হবে, তেমনি তাদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্কও আরও দৃঢ় হবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *