সারাহ মিশেল গেলার, যিনি এক সময়ের জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার’-এর জন্য সুপরিচিত, এবং তাঁর পরিবার ভ্রমণের সময় একটি বিশেষ অভ্যাস বজায় রাখেন। এই অভ্যাসটি হলো, তাঁরা যেখানেই যান না কেন, স্থানীয় রান্নার ক্লাস করেন।
গেলার এবং তাঁর স্বামী, অভিনেতা ফ্রেডি প্রিন্স জুনিয়র, তাঁদের দুই সন্তান, ১৫ বছর বয়সী শার্লট এবং ১২ বছর বয়সী রকিকে নিয়ে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন এবং সেখানকার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার জন্য খাদ্যকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন।
ইতালি, বালি কিংবা স্পেন—যেখানেই তাঁরা যান না কেন, সেখানকার স্থানীয় বাজারের আনাচে-কানাচে ঘোরার পাশাপাশি রান্নার ক্লাসে অংশ নেওয়া তাঁদের ভ্রমণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গেলার মনে করেন, একটি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সেখানকার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানা।
তিনি জানান, তাঁরা ইতালির টাস্কানিতে এক মহিলার বাড়িতে বসে হাতে-কলমে পাস্তা তৈরি করা শিখেছেন। ফ্লোরেন্সে গিয়ে একটি মহিলা পরিচালিত পিৎজা ক্লাসে অংশ নিয়েছেন।
বালিতেও তাঁরা রান্নার ক্লাসে গিয়েছিলেন, যা তাঁদের ভ্রমণের স্মৃতি আরও রঙিন করে তুলেছে।
গেলার ছোটবেলায় খুব বেশি ভ্রমণের সুযোগ পাননি। তাই তিনি চান, তাঁর সন্তানেরা যেন বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয় এবং খাবারের মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
শুধু বিদেশেই নয়, বাড়িতেও গেলার সন্তানদের রান্নার সঙ্গে যুক্ত করেন। বর্তমানে তাঁর সন্তানেরা নিজেরাই রান্না করতে শিখে গেছে।
মাঝেমধ্যে তারা মায়ের থেকে পরামর্শ নেয়, আবার কখনও নিজেরাই রেসিপি তৈরি করে।
রান্না নিয়ে গেলারের পরিবারের এই আগ্রহ যেন আমাদের সমাজের পারিবারিক ঐতিহ্যের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
বাংলাদেশেও পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে রান্না করেন এবং খাবারের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
খাদ্য, সংস্কৃতি এবং পরিবারের বন্ধন—এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। গেলার এবং তাঁর পরিবারের এই রান্নার প্রতি আগ্রহ, বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা, এবং সন্তানদের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা—সবকিছুই আমাদের জন্য অনুকরণীয়।
তথ্য সূত্র: পিপল