ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। বুধবার এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনের অর্থনীতি মন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন।
জানা যায়, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেন চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি খনিজ সম্পদ চুক্তি করতে। এই চুক্তির ফলে ইউক্রেন তাদের মূল্যবান খনিজ সম্পদ সরবরাহ করবে, যার বিনিময়ে দেশটি বিনিয়োগ সুবিধা পাবে।
খবর অনুযায়ী, উভয় দেশের মধ্যে এই বিষয়ে আলোচনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল।
এই চুক্তির বিষয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মন্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ধারণা দেন যে, এই চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন সাহায্য পরিশোধ করা হচ্ছে।
তবে, ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শমিহাল জানিয়েছেন, চুক্তিতে স্বাক্ষরের আগে দেওয়া কোনো সহায়তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৈঠক সংক্ষিপ্ত হওয়ায় তখন তা সম্ভব হয়নি।
এই চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়বে।
একইসঙ্গে, বিশ্ববাজারে খনিজ সম্পদের যোগানেও পরিবর্তন আসতে পারে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
কারণ, বিশ্ববাজারে খনিজ সম্পদের দামের তারতম্য বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন