নাওমি জুডের আত্মহত্যার পর দুই মেয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে
বিখ্যাত কান্ট্রি সঙ্গীত শিল্পী নাওমি জুডের আকস্মিক মৃত্যু শোকের ছায়া ফেলেছে তাঁর পরিবারে। ২০২২ সালের ৩০শে এপ্রিল, ৭৬ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন নাওমি।
এই ঘটনার পর তাঁর দুই মেয়ে, অভিনেত্রী অ্যাশলে জুড এবং সঙ্গীত শিল্পী উইনোনা জুড, তাঁদের মায়ের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে আরও কাছাকাছি এসেছেন।
নাওমির স্বামী ল্যারি স্ট্রাইকল্যান্ড সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, এই ট্র্যাজেডির পর তাঁরা সবাই একত্রিত হয়েছিলেন। “এই দুঃখজনক ঘটনার পর আমরা সবাই, ভালোবেসে হোক বা বাধ্য হয়েই হোক, একসঙ্গে এসেছিলাম,” তিনি বলেন।
“আমরা বুঝতে পারলাম জীবন কত ক্ষণস্থায়ী।”
স্ট্রাইকল্যান্ড আরও যোগ করেন, নাওমির মৃত্যুর পর তিনি অ্যাশলে এবং উইনোনার আরও কাছে এসেছেন। “নাওমি চলে যাওয়ার পর, উইনোনা এবং অ্যাশলেই ছিল আমার কাছে, যাদের মধ্যে আমি নাওমিকে খুঁজে পেতাম,” তিনি বলেন।
“তাঁরাই ছিলেন আমার জীবনে আঁকড়ে থাকার মতো মানুষ।”
আসন্ন একটি নতুন তথ্যচিত্র সিরিজে, “দ্য জুড ফ্যামিলি: ট্রুথ বি টোল্ড”, এই শোকের স্মৃতিগুলো তুলে ধরা হবে।
লাইফটাইম চ্যানেলে ১০ ও ১১ই মে এটি প্রচারিত হবে।
এই সিরিজে অ্যাশলে এবং উইনোনা তাঁদের মা এবং পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন।
চার পর্বের এই সিরিজে জুড পরিবারের বেড়ে ওঠা এবং খ্যাতির শিখরে পৌঁছানোর গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
মা ও মেয়ের মধ্যেকার জটিল সম্পর্ক এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা মানসিক আঘাতের বিষয়গুলোও এতে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে।
তথ্যচিত্রে স্ট্রাইকল্যান্ড ছাড়াও, নাওমির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁদের গল্প শোনাবেন।
সেই সঙ্গে, পারিবারিক ভিডিও এবং আগে প্রকাশিত হয়নি এমন গান ও অডিও শোনা যাবে।
এই তথ্যচিত্রটি নাওমির জীবনের শুরু থেকে, তাঁর দুই মেয়ের বেড়ে ওঠা এবং তাঁদের তারকা হয়ে ওঠার গল্প বলবে।
কেনটাকির এক কিশোরী মা ডায়ানা, কিভাবে তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে কঠিন জীবন পার করেছেন, সেই চিত্রও এতে দেখা যাবে।
যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা চিন্তা করেন, তবে অনুগ্রহ করে দ্রুত সাহায্য নিন।
আপনি ৯৮৮ নম্বরে ফোন করে অথবা “STRENGTH” লিখে ৭41741 নম্বরে মেসেজ করে সাহায্য চাইতে পারেন।
পরিবার হলো আমাদের আশ্রয়স্থল।
কঠিন সময়ে পরিবারের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।
মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া এবং প্রিয়জনদের পাশে থাকা খুবই জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপল