মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্চ মাসে ভোক্তাদের ব্যয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। খবর অনুযায়ী, ফেডারেল রিজার্ভের ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে মূল্যস্ফীতি কিছুটা স্বস্তি এনেছে।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয় সূচক (PCE price index), যা ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান পরিমাপক, ফেব্রুয়ারীর ২.৭ শতাংশ থেকে কমে মার্চে ২.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
মাসিক ভিত্তিতে, মূল্যবৃদ্ধি হয়নি, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন, মার্চে বার্ষিক PCE মূল্যসূচক ২.২ শতাংশে নেমে আসবে, সম্ভবত তেলের দাম কমার কারণে। কারণ হিসেবে মন্দা আসার উদ্বেগের কথা বলা হচ্ছিল।
সেই ধারণাই সত্যি হয়েছে। মার্চে জ্বালানি পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবার খরচ ২.৭ শতাংশ কমেছে।
তবে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, যা ফেব্রুয়ারী থেকে ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাদ্য ও জ্বালানি খরচ বাদে, মূল PCE মূল্যসূচক মাসে অপরিবর্তিত ছিল এবং বার্ষিক হারে ৩ শতাংশ থেকে কমে ২.৬ শতাংশ হয়েছে।
ভোক্তা ব্যয় ফেব্রুয়ারী থেকে ০.৭ শতাংশ বেড়েছে, যা ০.১ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এটি দুই বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ব্যয়ের সবচেয়ে বড় মাসিক উল্লম্ফন। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের আগে ভোক্তারা জিনিসপত্র কিনেছেন।
তবে এই তথ্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্পের নীতিগুলোর – বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক আরোপ – বিশ্ব অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
এই নীতিগুলোর কারণে বাজারের অস্থিরতা, ভোক্তাদের মধ্যে আস্থার অভাব এবং নিয়োগকর্তাদের কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকাশিত অর্থনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমেছে, যা গত তিন বছরে প্রথম।
এছাড়া, বেসরকারি খাতে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে।
তথ্য সূত্র: CNN