মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেই deport, সরাসরি জানিয়ে দিলেন ক্রিস্টিন নোভেম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতির কড়া শাসনের মধ্যে, এল সালভাদরের নাগরিক কিলমার আব্রেগো গার্সিয়ার নির্বাসন নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে তিনি এখন নিজ দেশ এল সালভাদরে অবস্থান করছেন।

যদিও তার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কথা ছিল, কিন্তু তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুলবশত ফেরত পাঠানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যদি আব্রেগো গার্সিয়াকে কোনোভাবে আবার আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা হয়, তবে ট্রাম্প প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পুনরায় এল সালভাদরে ফেরত পাঠাবে।

নোয়েম জানান, প্রায় এক দশক আগে, ২০১১ সালে গ্যাং সহিংসতার কারণে পালিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন ২৯ বছর বয়সী আব্রেগো গার্সিয়া।

আদালতের নথি অনুযায়ী, আব্রেগো গার্সিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন তাকে কুখ্যাত এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করতে চাইছে।

যদিও আব্রেগো গার্সিয়ার স্ত্রী, যিনি একজন মার্কিন নাগরিক, এবং তার আইনজীবীরা এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। এমনকি, আদালতও আব্রেগো গার্সিয়ার পুনরায় দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি ‘সহজ করতে’ নির্দেশ দিয়েছিল।

কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই নির্দেশকে কার্যত অগ্রাহ্য করেছে। তাদের যুক্তি, যেহেতু আব্রেগো গার্সিয়া এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে নেই, তাই মার্কিন আদালতের এই বিষয়ে এখতিয়ার নেই।

এই বিতর্কের মধ্যে, একজন ফেডারেল বিচারক শ্বেত house-এর বিরুদ্ধে ‘সদিচ্ছার অভাব’-এর অভিযোগ এনেছেন। বিচারক উল্লেখ করেন, এই মামলায় অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ এড়াতে বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে।

যদিও নোয়েম দাবি করেন, প্রশাসন গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা তৈরির জন্য ‘ঘণ্টা পর ঘণ্টা’ কাজ করে যাচ্ছে।

আরেকজন শীর্ষস্থানীয় বিচারক, রোনাল্ড রেগান কর্তৃক নিযুক্ত জে হার্ভি উইলকিনসন, আব্রেগো গার্সিয়ার মামলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্যকে ‘চমকপ্রদ’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি মনে করেন, এই ধরনের ঘটনা শুধু বিচারকদের জন্য নয়, বরং সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ধারণার প্রতিও আঘাত হানে।

এই ঘটনা মানবাধিকার, যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া এবং অভিবাসীদের অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসে। একটি দেশের সরকার কীভাবে তার নাগরিকদের প্রতি আচরণ করে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আব্রেগো গার্সিয়ার এই মামলাটি বিশ্বজুড়ে অভিবাসন নীতি এবং আইনি ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলোকেও উন্মোচন করে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *