স্বামী উপহার ফেরত! এরপর যা হলো, শুনলে চমকে যাবেন!

নতুন একটি খবর: উপহার ফেরত: স্বামীর এই কাজটি কি ঠিক ছিল?

সম্প্রতি, একটি পরিবারের মধ্যে উপহার ফেরত দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি হলো, এলােডি নামের এক নারীর স্বামী, ম্যাক্স, তাঁর স্ত্রীর বোন রুবি’র দেওয়া একটি উপহার—একটি সিরামিকের বাটি—ফেরত দিয়ে দেন। এলােডি প্রথমে তাঁর বোনকে বিষয়টি জানাননি, বরং মিথ্যা বলেছিলেন যে বাটিটি ভেঙে গেছে। এখন তিনি বেশ অস্বস্তিতে ভুগছেন।

এই ঘটনার সূত্র ধরে প্রশ্ন উঠেছে, উপহার ফেরত দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? বিশেষ করে, আত্মীয়-স্বজনের দেওয়া উপহারের ক্ষেত্রে এই ধরনের পদক্ষেপ কতটা গ্রহণযোগ্য? এলােডি মনে করেন, উপহার ফেরত দেওয়াটা রুচিহীনতার পরিচয়। বাটিটি তাঁদের পছন্দ না হলেও, সেটি রুবি ভালোবাসার সঙ্গে দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, ম্যাক্সের যুক্তি ছিল, বাটিটির নকশা তাঁদের রুচির সঙ্গে মিল ছিল না এবং সেটি তাঁদের বাড়ির সাজসজ্জার সঙ্গেও খাপ খাচ্ছিল না।

ম্যাক্স জানান, তিনি বিষয়টি এলােডিকে জানানোর পরেই বাটিটি ফেরত দিয়েছিলেন। তাঁদের ঘরটি তাঁরা নিজেদের রুচি অনুযায়ী সাজাতে চান। ম্যাক্স একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এবং তাঁর স্ত্রীও একই ধরনের নান্দনিকতা পছন্দ করেন।

তাঁদের মতে, যদি তাঁরা সবার দেওয়া উপহার গ্রহণ করতে থাকেন, তবে তাঁদের ঘরটি অন্য মানুষের রুচির এক জাদুঘরে পরিণত হবে।

এই ঘটনার পর এলােডি তাঁর বোনের কাছে বিষয়টি গোপন করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, সত্যিটা জানালে রুবি কষ্ট পেতে পারেন। তবে এখন তিনি মনে করছেন, ম্যাক্সের উচিত ছিল রুবিকে সত্যিটা জানানো।

বিষয়টি নিয়ে পাঠকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মনে করেন, ম্যাক্সের কাজটি ভুল ছিল। কারণ, উপহার দেওয়ার সময় মানুষের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানানো উচিত।

আবার কেউ কেউ মনে করেন, উপহারটি যদি তাঁদের পছন্দের না হয়, তবে সেটি ফেরত দেওয়ার অধিকার তাঁদের আছে।

এই বিতর্কের শেষ কোথায়? উপহার ফেরত দেওয়ার মতো ঘটনা সমাজে প্রায়ই ঘটে। এই ধরনের ঘটনার মাধ্যমে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে। তাই, উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যের রুচি এবং অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *