চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা ডিউর্গার্ডেনের মাঠের ঘাস নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আসন্ন কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ডিউর্গার্ডেনের মাঠের কৃত্রিম ঘাস খেলোয়াড়দের জন্য আঘাতের কারণ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য প্রথম লেগের ম্যাচের আগে মারেস্কা এই মন্তব্য করেন। এই ম্যাচে চেলসিকে সুইডিশ ক্লাবটির বিপক্ষে খেলতে হবে। মাঠের এই ঘাস নিয়ে এরই মধ্যে অনেকে তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
যদিও কোচ মারেস্কা বলেছেন, তিনি রোববার লিভারপুলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির কথা এখনই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না, তবে ডিউর্গার্ডেনের মাঠে তার খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
মারেস্কা বলেন, “অবশ্যই, এটা একটা উদ্বেগের বিষয়। আমি কিছুটা চিন্তিত। তবে আমরা এমন একটা পরিস্থিতিতে নেই যে খেলোয়াড়দের রোববারকের জন্য বিশ্রাম দেব। এটা একটা সেমিফাইনাল, ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা এবং আমরা ফাইনালে যেতে চাই।”
বুধবার রাতে ৩-অ্যারেনাতে অনুশীলনের সময় চেলসির খেলোয়াড়রা মাঠটি পরখ করেন। মাঠের ঘাসের বাউন্স দেখে তারা খুব একটা খুশি হননি। এমনকি ডিউর্গার্ডেনের স্ট্রাইকার আগস্ট প্রিসকে এপ্রিলের শুরুতে মাঠটিকে ‘শীতের মাঠ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
মারেস্কা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি জানি, গত কয়েক সপ্তাহে তাদের কিছু খেলোয়াড়ও মাঠটি নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তারা প্রতি সপ্তাহে খেলে, তাই আমাদের জন্য এটা ভিন্ন। তবে কোনো অজুহাত নেই, আগামীকাল এবং দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করব।”
এই প্রতিযোগিতায় চেলসি সবচেয়ে ধনী ক্লাব এবং ডিউর্গার্ডেনের পক্ষে যা বহন করা সম্ভব, তাদের খেলোয়াড়দের পেছনে অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা তার চেয়ে অনেক বেশি। তবে, সুইডেনের লিগে ১১তম স্থানে থাকা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে মারেস্কা কোনো ধরনের আত্মতুষ্টির সম্ভাবনাকে দূর করতে চাইছেন।
ইতালীয় এই কোচ বলেন, “অর্থ দিয়ে আপনি ম্যাচ বা শিরোপা জিততে পারেন না। আমরা এটা খুব ভালো করেই জানি। সুতরাং, এটা কত টাকা খরচ করছেন তার উপর নির্ভর করে না। আপনি শুধু বেশি অর্থ খরচ করে ম্যাচ বা শিরোপা জিততে পারবেন না। অবশ্যই আপনাকে অর্থ খরচ করতে হবে, তবে সঠিক পথে। আমরা এখন কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে, আমাদের লিগে লড়াই করছি এবং আশা করি উভয় প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করতে পারব।”
চেলসি তাদের স্কোয়াডের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়াই স্টকহোমে ভ্রমণ করেছে। এদের মধ্যে লোড ম্যানেজমেন্টের কারণে রোমিও লাভিয়া এবং ইনজুরির কারণে রবার্ট সানচেজ ও ক্রিস্টোফার এনকুনকু-র নাম উল্লেখযোগ্য। মারেস্কা বলেছেন, এনকুনকু এই মৌসুমে আর খেলতে পারবেন কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, চেলসি আসন্ন মৌসুমের শেষ পর্যন্ত তাদের জার্সির সামনের অংশের স্পন্সর হিসেবে দুবাইয়ের একটি সম্পত্তি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, দামাকের সাথে চুক্তি করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান