চীনের গুইঝু প্রদেশে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু, যা সময় বাঁচাবে এক মিনিট!
বিশ্বজুড়ে চলছে নানা ধরনের নির্মাণ আর আবিষ্কারের প্রতিযোগিতা। কেউ গড়ছে আকাশছোঁয়া স্থাপত্য, তো কেউ তৈরি করছে নতুন রেকর্ড। সম্প্রতি, চীনের গুইঝু প্রদেশে তৈরি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু।
এই প্রদেশটি এমনিতেই উঁচু-নিচু পাহাড় আর অসংখ্য সেতুর জন্য বিখ্যাত। জানা গেছে, আগামী জুন মাসেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ (Huajiang Grand Canyon Bridge)। এই সেতুটি নদীর স্তর থেকে প্রায় ৬২৫ মিটার (২,০৫১ ফুট) উপরে তৈরি করা হয়েছে।
প্রযুক্তি এবং প্রকৌশলের এক দারুণ উদাহরণ এই সেতুটি। বর্তমানে, ফ্রান্সের মিল্লাউ ভায়াডাক্ট (Millau Viaduct) হলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতুর অধিকারী। এই নতুন সেতুটি তার থেকেও অনেক বেশি উঁচু হতে যাচ্ছে।
সেতুটি চালু হওয়ার ফলে গিরিখাত পার হতে এখন যেখানে ২ ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে মাত্র এক মিনিটেই সেই পথ পাড়ি দেওয়া যাবে।
এই খবর আমাদের মনে করিয়ে দেয় বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর কথা। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। চীনের এই সেতুও হয়তো সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় আনবে বিশাল পরিবর্তন।
শুধু সেতু নির্মাণেই নয়, বিশ্বজুড়ে মানুষ নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। সিঙ্গাপুরের লেভেল৩৩ (LeVel33) নামের একটি পানশালা, যা একটি ভবনের ৩৩ তলার উপরে অবস্থিত, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মাইক্রোব্রুয়ারি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া, ফিলিপাইনে তৈরি হয়েছে একটি বিশাল আকারের মুরগির আকারের হোটেল, যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়।
ভ্রমণের দিক থেকেও রয়েছে নানান খবর। খুব শীঘ্রই ডিজনি তাদের সবচেয়ে বড় ক্রুজ শিপ, ‘ডিজনি অ্যাডভেঞ্চার’-এর যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে, জাপানের নাগাইজুমিতে তৈরি হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পার্ক, যার আয়তন মাত্র ২.৬ বর্গফুট।
এছাড়াও, বিভিন্ন দেশের মানুষ নতুন জীবন শুরু করতে দেশান্তরী হচ্ছেন। কেউ মেক্সিকোতে গিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন, আবার কেউ জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছেন। এই ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের দেখায় যে, মানুষের জীবন সবসময়ই নতুন কিছু করার এবং আবিষ্কারের দিকে ধাবিত হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন