মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাই স্কুলে ভয়াবহ র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনা হতে পারে। নিউ ইয়র্কের সিরাকাস এলাকার ওয়েস্টহিল হাই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের জুনিয়র সহপাঠীদের ওপর র্যাগিং করে, যা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
ঘটনার জেরে স্কুলের ল্যাক্রস দলের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা জুনিয়র খেলোয়াড়দের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে একটি পরিকল্পনা করে। তারা কয়েকজন জুনিয়র খেলোয়াড়কে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের চোখ বেঁধে, হাত-পা বেঁধে একটি গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। এরপর তাদের একটি জঙ্গলের পাশে ফেলে আসা হয়।
পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তরা বন্দুক ও ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিল।
ওননডাগা কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি উইলিয়াম ফিটজপ্যাট্রিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, তাদের বিরুদ্ধে অপহরণের গুরুতর অভিযোগ আনা হতে পারে। এই অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদের কারাদণ্ড হতে পারে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের আত্মসমর্পণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, র্যাগিংয়ের এই ঘটনা নিছক কোনো কৌতুক ছিল না, বরং এটি ছিল মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়।
ওয়েস্টহিল সেন্ট্রাল স্কুল ডিস্ট্রিক্টের সুপারিনটেনডেন্ট স্টিফেন ডানহ্যাম জানিয়েছেন, র্যাগিং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
পুরো ঘটনার তদন্তের স্বার্থে স্কুলের ল্যাক্রস দলের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা অ্যাটর্নি ফিটজপ্যাট্রিক অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তিনি বলেন, যদি অভিযুক্তরা আত্মসমর্পণ না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পর র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, র্যাগিং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন