জার্সি মাইকের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন চার্লি মরিসন। প্রায় ৫০ বছর পর এই প্রথম কোম্পানির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসছে। খবরটি জানিয়েছে সিএনএন।
জানা গেছে, পিটার ক্যানক্রো সম্প্রতি একটি ৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিটির উল্লেখযোগ্য অংশীদারত্ব ব্ল্যাকস্টোনের কাছে বিক্রি করেছেন। এই চুক্তির ফলে তিনি এখন একজন মাল্টি-মিলিয়নিয়ার।
তবে, ক্যানক্রো এখনই কোম্পানি থেকে পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না। তিনি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং কোম্পানির একজন গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডার হিসেবেও থাকবেন।
নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চার্লি মরিসন এর আগে উইংস্টপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২৮শে এপ্রিল থেকে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মরিসনের মূল দায়িত্ব হবে জার্সি মাইকের শক্তিশালী অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাজারে এর সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করা।
পিটার ক্যানক্রো এক বিবৃতিতে মরিসনকে তার উত্তরসূরি হিসেবে ‘আদর্শ’ ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি উইংস্টপের বৃদ্ধিতে মরিসনের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
মরিসনের নেতৃত্বকালে উইংস্টপের শেয়ারের মূল্য চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ক্যানক্রো বলেন, “উইংস্টপকে একটি অসাধারণ সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সফলভাবে আইপিও সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানেন, কিভাবে একটি নতুন এবং প্রভাবশালী ব্র্যান্ড তৈরি করতে হয়।
আমি নিশ্চিত, তিনি জার্সি মাইকের ক্ষেত্রেও একই উদ্যম ও দূরদৃষ্টি নিয়ে কাজ করবেন।”
জার্সি মাইকের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা। পিটার ক্যানক্রো ১৯৭৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘মাইক’স সাবস’ নামের একটি দোকান কিনে ব্যবসা শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি ১৯৮০-এর দশকে ব্র্যান্ডটির নাম পরিবর্তন করে ‘জার্সি মাইক’স’ রাখেন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিং শুরু করেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এর শাখা রয়েছে। খুব শীঘ্রই ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যেও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, এই চুক্তির পর ক্যানক্রোর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭.৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সমান (মে, ২০২৪)।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্যান্ডউইচ চেইন হিসেবে পরিচিত জার্সি মাইক’স। বিক্রয়ের দিক থেকে সাবওয়ের পরেই এর অবস্থান।
কুইএসআর ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি জার্সি মাইকের শাখা বছরে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা) আয় করে, যেখানে সাবওয়ের শাখাগুলো গড়ে ৫ লক্ষ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫.৫ কোটি টাকা) কম আয় করে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত বছর সাবওয়েকে প্রায় ৯.৬ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করা হয়। এরপর ফাস্ট ফুড জগতে ব্ল্যাকস্টোনের এই চুক্তিটি ছিল সবচেয়ে বড় চুক্তি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন