মা হওয়ার সময়ে বাড়ছে মৃত্যু, আমেরিকায় শোকের ছায়া!

যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃমৃত্যুর হারে সামান্য বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্বেগ।

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় অথবা এর কাছাকাছি সময়ে মায়েদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। বুধবার প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই চিত্র পাওয়া গেছে। এর আগে, টানা দুই বছর এই হার কমে আসছিল।

রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention) -এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর গর্ভধারণ অথবা সন্তান জন্ম দেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ৬৮৮ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৬৯। যদিও ২০২২ ও ২০২১ সালের তুলনায় এটি কম, কারণ সেই সময়ে মৃত্যুর হার ছিল গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

মাতৃমৃত্যুর হারও বেড়েছে, প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৯ জন মায়ের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে আগের বছর এই হার ছিল ১৮.৬। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, রক্তনালীতে ব্লকেজ এবং সংক্রমণের মতো বিষয়গুলো এই মৃত্যুর প্রধান কারণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় এই ধরনের মৃত্যু বেড়ে গিয়েছিল, কারণ গর্ভবতী নারীদের জন্য করোনাভাইরাস খুবই বিপজ্জনক ছিল। মহামারীর চরম সময়ে, চিকিৎসকদের অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে অনেক সময় তাঁরা গর্ভবতী মায়েদের উদ্বেগকে সেভাবে গুরুত্ব দেননি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে মাতৃমৃত্যুর হার কমার প্রধান কারণ ছিল কোভিড-১৯ এর প্রকোপ কমে আসা।

তবে এখন উদ্বেগের বিষয় হলো, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং গর্ভপাতের অধিকার বাতিল করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। এর ফলে, কিছু চিকিৎসক গর্ভাবস্থায় জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে দ্বিধা বোধ করছেন।

উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাতৃমৃত্যুর হার এখনো অনেক বেশি। আগে করা গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, শ্বেতাঙ্গ নারীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে এই মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

মাতৃস্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশেই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশেও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *