আতঙ্ক! গ্ল্যাডিয়েটরের হাড়ে সিংহের কামড়: ভয়ংকর সত্য!

শিরোনাম: ইংল্যান্ডে আবিষ্কৃত ‘গ্ল্যাডিয়েটর গোরস্থান’, সিংহ-আঘাতে নিহত যুবকের কঙ্কাল

প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদরা এক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন। ইংল্যান্ডের ইয়র্ক শহরে পাওয়া গেছে একটি সমাধিস্থল, যা সম্ভবত গ্ল্যাডিয়েটরদের (যোদ্ধা) কবরস্থান ছিল।

সম্প্রতি, সেখানে পাওয়া একটি কঙ্কাল বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি সিংহের আক্রমণে নিহত হয়েছিলেন। এই আবিষ্কার রোমান সাম্রাজ্যের সংস্কৃতি যে শুধুমাত্র কলোসিয়ামের (যুদ্ধক্ষেত্র) মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং অনেক দূরেও এর প্রভাব বিস্তার করেছিল, তার প্রমাণ দেয়।

গবেষকরা জানিয়েছেন, কঙ্কালটি সম্ভবত ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী একজন যুবকের ছিল। এই সমাধিস্থলটি ১,৮২৫ থেকে ১,৭২৫ বছর আগের।

ইয়র্ক আর্কিওলজিক্যাল ট্রাস্টের নেতৃত্বে পরিচালিত খননকার্যের সময়, কঙ্কালটির কোমরের কাছে বড় ধরনের ক্ষতচিহ্ন লক্ষ্য করা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, সম্ভবত কোনো বন্য প্রাণী ওই আঘাতের জন্য দায়ী।

কিন্তু গভীর অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্ষতগুলো সিংহের দাঁতের আঘাতের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিন হোলস্টের মতে, এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে সমাধিস্থলে যাদের কবর দেওয়া হয়েছিল, তারা গ্ল্যাডিয়েটর ছিল, সৈন্য বা সাধারণ ক্রীতদাস নয়।

ইতিহাসবিদদের মতে, গ্ল্যাডিয়েটরদের যুদ্ধ ছিল প্রাচীন রোমের একটি পরিচিত সংস্কৃতি। তারা প্রায়ই বন্য পশুর সঙ্গে লড়াই করত এবং তাদের জীবন প্রায়শই ঝুঁকির মধ্যে থাকত।

এই আবিষ্কার সেই সময়ের জীবনযাত্রা এবং রোমান সাম্রাজ্যের প্রভাব সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয়।

এই আবিষ্কারের মাধ্যমে, প্রাচীনকালে মানুষ এবং বন্য পশুর মধ্যে সম্পর্ক, গ্ল্যাডিয়েটরদের জীবন, এবং রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদরা এখন সমাধিস্থলের অন্যান্য কঙ্কালগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন, যাতে সেই সময়ের আরও অজানা তথ্য সামনে আনা যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *