রস্ট: আলেকের বন্দুকের বিভীষিকা! সিনেমার ট্র্যাজেডি কতটা ভয়ঙ্কর?

একটি মর্মান্তিক ঘটনার ছায়া: আলোচনা-সমালোচনার মাঝে ‘রাস্ট’।

পশ্চিমের প্রেক্ষাপটে নির্মিত সিনেমা ‘রাস্ট’ মুক্তি পাওয়ার আগেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সিনেমার অভিনেতা এবং প্রযোজক অ্যালেক বাাল্ডউইন এবং সিনেমাটোগ্রাফার (চিত্রগ্রাহক) হ্যালিনা হাচিন্সকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

সিনেমার শুটিং চলাকালীন বন্দুকের গুলিতে হ্যালিনার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

অবশেষে সিনেমাটি মুক্তি পেলেও দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

১৮৮২ সালের প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘রাস্ট’-এর গল্প। এখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অ্যালেক বাাল্ডউইন।

সিনেমাটিতে রুস্ট নামের এক কুখ্যাত ডাকাতের চরিত্রে দেখা যায় তাকে, যে তার নাতি লুকাসকে (প্যাট্রিক স্কট ম্যাকডার্মট) নিয়ে পলাতক জীবন যাপন করে। লুকাসকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।

সিনেমাটির সবচেয়ে প্রশংসিত দিক হলো হ্যালিনা হাচিন্সের সিনেমাটোগ্রাফি। হাচিন্সের ক্যামেরার কাজ সত্যিই অসাধারণ ছিল।

সিনেমাটির প্রতিটি দৃশ্য যেন এক একটি ক্যানভাস। বিশেষ করে, পুরোনো দিনের পশ্চিমা ধাঁচের সিনেমাগুলোর আবহ ফুটিয়ে তুলতে হাচিন্সের কাজ দর্শকদের মন জয় করে।

তাঁর কাজ ছবিটিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে, যা দর্শককে মুগ্ধ করে।

তবে, সিনেমার গল্প এবং অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় নিয়ে সমালোচকদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। কারো কারো মতে, গল্পের গভীরতা তেমন নেই।

অ্যালেক বাাল্ডউইনের অভিনয়ও অনেকের কাছে দুর্বল মনে হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য পার্শ্ব-চরিত্রগুলোও দর্শকদের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অভিনয় ছিল সাদামাটা।

ফলে সিনেমার আকর্ষণ কিছুটা কমে গেছে।

সিনেমার ট্র্যাজেডি দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। অনেকেই মনে করেন, এমন একটি ঘটনার পর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া উচিত হয়নি।

কারণ, শুটিংয়ের সময় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি এতটাই মর্মান্তিক ছিল যে, তা দর্শকদের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে।

সব মিলিয়ে, ‘রাস্ট’ দর্শকদের জন্য একদিকে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই উদ্বেগের কারণও বটে।

সিনেমাটি যারা দেখতে চান, তারা হ্যালিনা হাচিন্সের সিনেমাটোগ্রাফির জন্য দেখতে পারেন।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *