গাজায় জীবিত জিম্মি সংখ্যা নিয়ে বোমা ফাটালেন নেতানিয়াহুর স্ত্রী!

গাজায় বন্দী জিম্মিদের বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, এক মাইক্রোফোনের মাধ্যমে শোনা গেছে যে, সারা নেতানিয়াহু, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর স্ত্রী, বলেছেন গাজায় জীবিত জিম্মির সংখ্যা ২৪ জনের কম। এই মন্তব্যের জেরে জিম্মিদের পরিবারে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

তারা সরকারের কাছে তাদের প্রিয়জনদের ভাগ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইছে।

সোমবার ইসরায়েলি উৎসবের মশালধারীদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল বিজয় অর্জন করা এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা। আজ পর্যন্ত আমরা ১৯ জন জীবিতসহ ১৯ জন জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।

জীবিত আছেন… ২৪ জন পর্যন্ত। জীবিত আছেন ২৪ জন পর্যন্ত।”

তখনই তার পাশে বসা স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু মৃদুস্বরে বাধা দিয়ে বলেন, “কম।

সঙ্গে সঙ্গে নেতানিয়াহু উত্তর দেন, “আমি বলছি পর্যন্ত। আর দুঃখিত, বাকিরা জীবিত নেই। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনব।”

বর্তমানে গাজায় ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে।

ইসরায়েল সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের ধারণা জীবিত জিম্মির সংখ্যা ২৪ জন পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর এই মন্তব্যের পর ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি সরকারের কাছে হয়তো এমন কিছু তথ্য আছে যা ইঙ্গিত করে যে, ২৪ জনের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সিএনএন-কে জানান, তিনজন জিম্মিকে নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তবে তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি যে, তারা মারা গেছেন কিনা।

কয়েক মাস আগেও কর্মকর্তারা একই ধরনের কথা বলেছিলেন শেরি বিবাস ও তাঁর দুই সন্তানের বিষয়ে, যাদের মরদেহ সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির সময় ফেরত পাওয়া গেছে।

জিম্মিদের পরিবারের পক্ষ থেকে নেতানিয়াহু ও তাঁর স্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।

“জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম” এক বিবৃতিতে বলেছে, “শোক দিবসের প্রাক্কালে, আপনারা জিম্মিদের পরিবারের হৃদয়ে বর্ণনাতীত আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন – এমন পরিবার, যারা এরই মধ্যে অসহনীয় উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

যদি আমাদের স্বজনদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো গোয়েন্দা তথ্য বা নতুন খবর থাকে, তাহলে আমরা সম্পূর্ণ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।”

জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা জানতে চান, কেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর কাছে তাদের প্রিয়জনদের সম্পর্কে সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে, যা তাদের কাছে নেই।

এক জিম্মির মা, আইনভ জাঙ্গাউকার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “যদি প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর কাছে নিহত জিম্মিদের সম্পর্কে নতুন কোনো তথ্য থাকে, তাহলে আমি জানতে চাই আমার সন্তান মাতান জীবিত আছে কিনা, নাকি বন্দী অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়েছে, কারণ আপনার স্বামী যুদ্ধ শেষ করতে রাজি নন।”

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *