শেয়ার বাজারে অস্থিরতা: ট্রাম্পের নীতির জেরে লোকসানের মুখে শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ীরা, সুবিধা নিলেন কেউ কেউ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি প্রায়ই বিশ্ব অর্থনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাঁর নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে, বাজারে দর পতনের আগেই অনেকে তাদের কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে দেন, যা নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে।
বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ভেতরের খবর রাখা একটি সংস্থা, ‘দ্য ওয়াশিংটন সার্ভিস’-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ব্যবসায়ী তাদের কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেছেন।
এই তালিকায় ছিলেন মেটা’র প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ, ওরাকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাফ্রা ক্যাজ এবং জেপি মর্গান চেজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমি ডিমন।
জানা গেছে, এই সময়ে শীর্ষ ১০ জন শেয়ার বিক্রেতা প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়মিত বিরতিতে শেয়ার বিক্রি করেন।
তবে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ঘোষণার আগে এই শেয়ার বিক্রি তাঁদের জন্য কিছুটা সুবিধা নিয়ে আসে।
কারণ, এর পরেই বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, মেটা’র প্রধান মার্ক জাকারবার্গ প্রথম তিন মাসে প্রায় ৭৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেন।
এরপর মেটা’র শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণও কমে যায়, যদিও তিনি এখনো মেটা’র উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারের মালিক।
শেয়ার বাজার এবং অর্থনীতির উপর ট্রাম্পের নীতির প্রভাব অনেক সময়ই সুদূরপ্রসারী হয়েছে।
তাঁর নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের কারণে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তেমনই অনেক বিনিয়োগকারীও তাঁদের পুঁজি হারিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে, যারা আগে থেকে সতর্ক ছিলেন, তাঁরা কিছুটা হলেও ক্ষতির পরিমাণ কমাতে পেরেছেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিভাবে বাজারের এই অস্থিরতা সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারেন এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন।
যদিও এখানে কোনো বেআইনি কাজের ইঙ্গিত নেই, তবে এটি ধনী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভিন্নতা তুলে ধরে।
এই প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সিএনএন থেকে।