যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির শীর্ষ কৌঁসুলি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী এড মার্টিনের নিয়োগ নিয়ে সিনেটে তীব্র বিতর্ক চলছে। রিপাবলিকান দলের অনেক সদস্যের মাঝেই তার মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি উঠেছে।
তাদের উদ্বেগের কারণ, মার্টিনের অতীত কিছু মন্তব্য এবং কাজের সঙ্গে তার এই পদের উপযুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষ করে, গত ৬ই জানুয়ারির ক্যাপিটলে হামলার সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছিলেন মার্টিন। এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, যা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
এমনকি, তিনি রক্ষণশীল মিডিয়া এবং রুশ গণমাধ্যমেও উপস্থিত হয়েছেন, যা অনেকের কাছে উদ্বেগের কারণ।
সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটি বর্তমানে মার্টিনের মনোনয়ন নিয়ে শুনানির আয়োজন করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে আলোচনা করছে। ডেমোক্র্যাটরা চাচ্ছেন এই বিষয়ে শুনানি হোক, কিন্তু কিছু রিপাবলিকান সদস্য এর বিরোধিতা করছেন।
তাদের আশঙ্কা, এমনটা হলে ভবিষ্যতে এই ধরনের নজির তৈরি হতে পারে।
নর্থ ক্যারোলাইনার রিপাবলিকান সিনেটর থম টিলিস জানিয়েছেন, মার্টিনের মনোনয়ন নিয়ে তার গুরুতর কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, ৬ই জানুয়ারির ঘটনার পর কর্মকর্তাদের নিয়ে মার্টিনের মন্তব্যের কথা।
তিনি আরও জানান, মার্টিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি তার উদ্বেগের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইছেন।
অন্যদিকে, টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর জন করনিন মার্টিনকে “বিতর্কিত” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে, তিনি তার উদ্বেগের কারণগুলো এখনই জানাতে রাজি হননি।
সাউথ ক্যারোলাইনার সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও মার্টিনের মনোনয়ন নিয়ে কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এড মার্টিনের কাজের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এমনকি, মার্টিনকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি হিসেবে পছন্দ করেন বলেও জানা গেছে।
মার্টিনের অতীতের কিছু মন্তব্যও তার মনোনয়ন পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি সিনেটর জন কার্টিসকে “ভণ্ড রিপাবলিকান” এবং “বিশ্বাসঘাতক” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
এছাড়া, সিনেটর লিসা মুরকাউস্কি এবং সুসান কলিন্সের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি।
বর্তমানে, সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটি এখনো ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পায়নি। ফলে, মনোনয়ন প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শুরু হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন