ঐতিহাসিক জয়! রেক্সহ্যামের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রায়ান রেইনোল্ডস!

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রায়ান রেনল্ডস এবং রব ম্যাকএলহেনির মালিকানাধীন ওয়েলসের ফুটবল ক্লাব, ওরেক্সহ্যাম এ.এফ.সি. (Wrexham A.F.C.) সম্প্রতি এক ঐতিহাসিক জয়লাভ করেছে। ক্লাবটি তাদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের মাধ্যমে লিগ ওয়ান থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে উন্নীত হয়েছে।

এই সাফল্যের ফলে ক্লাবটি এখন প্রিমিয়ার লিগে খেলার আরও একধাপ কাছে পৌঁছে গেল। ২০২১ সালে এই দুই তারকা যখন ক্লাবটি কিনেছিলেন, তখন তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল ক্লাবটিকে শীর্ষস্থানীয় লিগে নিয়ে যাওয়া।

এই যাত্রাপথে তারা একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছেন। শনিবার, চার্লটন অ্যাথলেটিককে পরাজিত করার পর তাদের সেই স্বপ্ন আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে। এখন প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য ওয়েলশ দলটির প্রয়োজন আর মাত্র একটি জয়।

এই সাফল্যের পর উচ্ছ্বসিত রেনল্ডস তার সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “প্রথম প্রেস কনফারেন্সে আমাদের লক্ষ্য কী জানতে চাওয়া হয়েছিল…তখন রব বলেছিলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগ।’ অনেকেই হেসেছিল।

তাদের হাসার যথেষ্ট কারণ ছিল। এটা ছিল অনেকটা অসম্ভব স্বপ্নের মতো…কিন্তু আমরা মজা করিনি।” এই নিয়ে টানা তৃতীয়বার দলটি উপরের লিগে উন্নীত হলো।

রেনল্ডস আরও যোগ করেন, “আমি এখানে নিজেকে খুব আপন মনে করি। এটা এমন একটা জায়গা যেখানে সবাই একসঙ্গে থাকে, ভালো ব্যবহার করে এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

এখানে ভালো-খারাপ দুটো সময়ই আছে, কিন্তু একটা অনুভূতি কাজ করে, যা মাঝে মাঝে স্মৃতির চেয়েও বেশি মূল্যবান।” শুধু রেনল্ডসই নন, এই জয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন রেনল্ডসের স্ত্রী, অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলিও।

তিনি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দলের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং ওয়েক্সহ্যামের ‘ব্যাক টু ব্যাক টু ব্যাক’ জয়কে স্মরণ করে লেখেন, “আজকের দিনে শহরের ভালোবাসা এবং আনন্দ আমি ভুলতে পারব না।” এই সাফল্যের পেছনের মানুষ রব ম্যাকএলহেননি এবং রায়ান রেনল্ডসকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “তোমাদের দু’জনের ভালোবাসা এবং সম্মান প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং এর ফলস্বরূপ আরও বেশি আনন্দ, সম্ভাবনা, জাদু এবং ইতিহাস তৈরি হচ্ছে।”

এই দুই তারকার ওয়েক্সহ্যামের যাত্রা নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘ওয়েলকাম টু ওয়েক্সহ্যাম’-এর চতুর্থ সিজন মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৫ই মে।

এই সিরিজে দেখা যাবে, কীভাবে তারা তাদের ক্লাবকে নিচের স্তর থেকে উপরের দিকে নিয়ে আসার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, এই তথ্যচিত্রটি ইতোমধ্যে আটটি এমি পুরস্কার জিতেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *