ফুটবল বিশ্বে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজত্ব করা দুই কিংবদন্তি, লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, তাদের ক্লাব ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে যেন কিছুটা ম্লান হয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি, একই দিনে তারা দুজনেই তাদের নিজ নিজ কনফেডারেশনাল টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন, যা ফুটবল প্রেমীদের মনে গভীর রেখাপাত করেছে।
মেসির ইন্টার মায়ামি কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটcaps-এর কাছে ৫-১ গোলে পরাজিত হয়। অন্যদিকে, রোনালদোর আল-নাসর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট-এর সেমিফাইনালে কাওয়াসাকি ফ্রন্টালের কাছে ৩-২ গোলে হারে।
দুইটি ঘটনাই ফুটবল বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, কারণ মেসি ও রোনালদো – এই দুই তারকার বিদায় যেন তাদের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ের ইঙ্গিত বহন করে।
এই পরাজয়গুলো শুধু দুটি দলের জয়-পরাজয় নয়, বরং ফুটবলের চিরন্তন পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটcaps-এর কোচ জেসপার সোরেনসেন মনে করেন, “আন্ডারডগ” হিসেবে খেলতে নামাটা তাদের জন্য সুবিধা নিয়ে এসেছিল।
তারা তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পেরেছিল এবং মায়ামিকে রীতিমতো কোণঠাসা করে দেয়। একইভাবে, কাওয়াসাকি ফ্রন্টালের নতুন কোচ শিগেতোশি হাসেবেও তার দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলার কথা বলেছেন।
খেলাগুলোতে মেসি এবং রোনালদো দুজনেই তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। মেসি বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণকে পরাস্ত করে ঝলক দেখিয়েছেন, কিন্তু তার নেওয়া শটগুলো লক্ষ্যে থাকেনি।
রোনালদোও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তার হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়।
এই পরাজয়গুলো হয়তো মেসি বা রোনালদোর খেলোয়াড়ি জীবনের ইতিহাসে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু এটি সময়ের পরিবর্তনের একটি বার্তা দেয়। একই দিনে যখন ১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল আবারও তার প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন, তখন যেন মেসি ও রোনালদোর এই বিদায় তাদের সময়ের সীমাবদ্ধতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
ফুটবল মাঠে মেসি এবং রোনালদোর অবদান অনস্বীকার্য। তাদের খেলা কোটি কোটি ভক্তদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
তাদের এই পরাজয় হয়তো তাদের ভক্তদের হতাশ করেছে, তবে এটি ফুটবলের নতুন দিগন্ত উন্মোচনেরও ইঙ্গিত দেয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian