আফ্রিকার চলচ্চিত্র জগতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন নাইজেরিয়ার মিডিয়া মোগল মো. আবুদু। লন্ডনে ‘এবোনিলাইফ প্লেস’ তৈরির মাধ্যমে তিনি নাইজেরীয় সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রের প্রসারে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
একইসঙ্গে, চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য আইডিয়া ও অর্থায়নের সুযোগ তৈরি করতে অভিনেতা ইদ্রিস এলবার সঙ্গে মিলে ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছেন, যা ২০২৩ সালের শেষে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
মো আবুদুর এই উদ্যোগ আফ্রিকার সৃজনশীল অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশেষ করে নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্রগুলো যাতে যুক্তরাজ্যের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে, সেই লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন।
বর্তমানে, প্রেক্ষাগৃহের অভাবের কারণে অনেক চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে সমস্যা হয়। আবুদু মনে করেন, এই সমস্যা সমাধানে তাঁর নতুন পদক্ষেপগুলো সহায়ক হবে।
ষাটের কোঠায় পা রাখা মো আবুদু যেন এখনো তরুণ উদ্যোক্তা।
তিনি সবসময়ই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “ভয় পেলেও, সাহস করে এগিয়ে যেতে হবে।”
তাঁর এই দৃঢ় মানসিকতাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। একসময় হিউম্যান রিসোর্স বিভাগে কাজ করা আবুদু, জীবনের চতুর্থ দশকে এসে নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখেন।
তাঁর বন্ধুরা হয়তো ভেবেছিলেন, এটা মধ্যবয়সের সংকট, কিন্তু আবুদু ছিলেন আত্মবিশ্বাসী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আফ্রিকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য আবুদুর নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁর মতে, এই শিল্পের বিকাশে অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং বিতরণের একটি সমন্বিত ব্যবস্থা প্রয়োজন। তাঁর লক্ষ্য, আফ্রিকার সিনেমাকে একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত করা।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বছর ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় মো আবুদুর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ইদ্রিস এলবা তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন, ‘তিনি সময় নষ্ট করেন না। তাঁর মধ্যে রয়েছে সবার সাথে কাজ করার এক অসাধারণ ক্ষমতা এবং যেকোনো বাধা অতিক্রম করার অদম্য সাহস।’
আফ্রিকার বাইরেও চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে আফ্রিকানদের আরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করা উচিত বলে মনে করেন মো আবুদু।
তাঁর মতে, নিজেদের গল্প বলার এবং তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদেরই।
তথ্য সূত্র: CNN
