হিলারিয়া বাল্ডউইন: বিতর্কিত ঘটনার পর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুললেন।
আলোচিত অভিনেত্রী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিলারিয়া বাল্ডউইন সম্প্রতি তার অতীতের একটি কঠিন অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন। ২০২০ সালে তার স্প্যানিশ অ্যাকসেন্ট নিয়ে ওঠা বিতর্কের জেরে তিনি যে মানসিক কষ্টের শিকার হয়েছিলেন, সে কথা জানিয়েছেন।
তার আসন্ন বই ‘ম্যানুয়াল নট ইনক্লুডেড’-এ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি।
আলোচিত এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন অনেকে হিলারিয়ার স্প্যানিশ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি গভীর মানসিক আঘাত পান।
এক পর্যায়ে তিনি এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন যে, আত্মহত্যার কথা পর্যন্ত ভেবেছিলেন।
এই সময়টাতে তিনি একা হয়ে গিয়েছিলেন এবং নিজেকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
হিলারিয়া জানান, তিনি নিউরোডাইভারজেন্ট বা ভিন্ন স্নায়ু প্রকৃতির একজন মানুষ, সম্ভবত এ কারণেই তার ভাষার ব্যবহারে সমস্যা হতো।
তিনি বলেন, এই ধরনের মানুষের শেখার এবং কাজ করার ধরন অন্যদের থেকে আলাদা হতে পারে। বর্তমানে তিনি এই বিষয়ে সচেতন এবং এর সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নিতে হয়, সেই বিষয়ে কাজ করছেন।
এই কঠিন সময়ে হিলারিয়ার পাশে ছিলেন তার স্বামী অভিনেতা অ্যালেক বাল্ডউইন।
অ্যালেক তাকে সাহস জুগিয়েছেন এবং বুঝিয়েছেন যে সমালোচকদের কথাগুলো ভিত্তিহীন।
তিনি সব সময় হিলারিয়ার পাশে ছিলেন এবং তাকে মানসিক সমর্থন জুগিয়েছেন। হিলারিয়ার ভাইও তাকে এই সময়টাতে সাহস জুগিয়েছেন।
হিলারিয়ার মতে, সেই সময়ের সমালোচনার মূল কারণ ছিল মানুষের একঘেয়েমি এবং কোভিড-১৯ এর কারণে ঘরে বসে থাকা।
তিনি জানান, এই ঘটনার পর তিনি স্প্যানিশ উচ্চারণকে আরও ভালোভাবে রপ্ত করার জন্য স্পিচ থেরাপিও নিয়েছিলেন।
হিলারিয়া বাল্ডউইনের অভিজ্ঞতা আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য এবং পরিচয়ের ধারণা নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে।
তিনি দেখিয়েছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কীভাবে নিজের ভেতরের শক্তি খুঁজে বের করা যায়।
তার এই আত্মপ্রকাশ অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাবে, যারা একই ধরনের মানসিক কষ্টের শিকার।
তথ্য সূত্র: পিপল