বিখ্যাত অভিনেতা এডওয়ার্ড বেগলি জুনিয়রের কন্যা, হেইডেন বেগলি, সম্প্রতি তার মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুপ্রেরণামূলক কথা বলেছেন।
১৫ বছর বয়সে, যখন তার বাবা তাকে মদ্যপান করতে দেখেন, তখন থেকেই এই কঠিন পথচলার শুরু।
হেইডেন, বর্তমানে ২৫ বছর বয়সী, সম্প্রতি টিকটকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি তার এই যাত্রার কথা তুলে ধরেন।
ভিডিওতে হেইডেন জানান, কীভাবে তার বাবার একটি কঠিন প্রশ্ন তার জীবন পরিবর্তন করে দেয়।
ঘটনাটি ছিল হাই স্কুলের একটি স্প্রিং ব্রেকের সময়। বন্ধুদের সাথে সারা রাত পার্টি করার পর সকালে বাবা তাকে এবং তার বন্ধুদের নাস্তার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন।
গাড়িতে উঠার পরেই বাবার মুখ দেখে তিনি বুঝতে পারেন, তার মদ্যপানের বিষয়টি তিনি জেনে গেছেন।
হেইডেন বলেন, “আমি ভেবেছিলাম বাবা হয়তো কিছুই জানেন না।
কিন্তু গাড়ির আয়নায় বাবার মুখ দেখে আমার বুক কেঁপে উঠলো।
এরপর বাবা তাকে সরাসরি প্রশ্ন করেন, “তুমি কি মদ্যপান করছো?”
হেইডেন এর পরিবারে মাদকাসক্তির ইতিহাস ছিল, যে কারণে তার বাবা খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন।
হেইডেন আরও জানান, প্রথমে তিনি সাহায্য নিতে চাননি।
তিনি মনে করতেন, তার সাহায্যের প্রয়োজন নেই।
কিন্তু সেই দিনের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি জানিনা সেদিন আমার ভেতর থেকে কে কথা বলছিল, তবে আমি বাবাকে হ্যাঁ বলেছিলাম।
সম্ভবত বাবার কথা রাখার ভয় অথবা অন্য কোনো শক্তি আমাকে দিয়ে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়ায়।
সেই একটি মুহূর্তই তার জীবন বদলে দেয়, এবং তিনি সুস্থ জীবনের পথে যাত্রা শুরু করেন।
হেইডেনের এই ভিডিওর নিচে অনেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
অনেকে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং হেইডেনের এই কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার জন্য সাহস জুগিয়েছেন।
একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, “আমিও ১৫ বছর বয়সে মাদক থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম।
আমি খুব খুশি যে এই পথে আমরা একা নই।”
অভিনেতা এডওয়ার্ড বেগলি জুনিয়র, যিনি ‘সেন্ট এলসওয়্যার’ এবং ‘শি-ডেভিল’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, সব সময়ই পরিবেশ সচেতনতার জন্য পরিচিত।
হেইডেন একজন অভিনেত্রী এবং সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছেন।
সম্প্রতি, তারা দু’জন লস অ্যাঞ্জেলেস মেট্রোতে করে অস্কার অনুষ্ঠানে গিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।
বর্তমানে হেইডেন তার বাবার পারকিনসন রোগ নিয়েও বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেন।
এডওয়ার্ড বেগলি জুনিয়র ২০১৬ সালে এই রোগে আক্রান্ত হন, তবে এর লক্ষণগুলো তিনি দশ বছর আগে থেকেই অনুভব করতেন।
হেইডেনের এই গল্পটি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, বিশেষ করে যারা মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল